×

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু নিজের আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যূত হননি: মোস্তাফা জব্বার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২১, ০৯:৪০ পিএম

বঙ্গবন্ধু নিজের আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যূত হননি: মোস্তাফা জব্বার

ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মোস্তাফা জব্বার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা ভাষা, বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। এই বিষয়ে বঙ্গবন্ধু তার নিজের নীতি, আদর্শ ও দর্শন থেকে কখনো বিচ্যূত হননি। এমনকি তিনি তার রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকেও বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার আন্দোলনের পক্ষে সম্মত করাতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেননি তিনি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা সূচনা করেছিলেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

সোমবার (২৩ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও ১৫ই আগস্টের সকল শহিদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ (বিপিপি), টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ (বিপিপি), টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি'র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাহাব উদ্দিন এবং আইইবি'র সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) পিইঞ্জ.।

বঙ্গবন্ধু দেশি-বিদেশি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ শুরু করেছিলেন দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট দেশী বিদেশী শোষক, ধনিক গোষ্ঠী, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রেরই ফসল। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাদের উদ্দেশ্য সফল সমাপ্তিতে পৌছায়নি। পঁচাত্তরের পর ৬ বছরের শরণার্থী জীবন শেষে ৮১ সালে দেশে ফিরে ১৫ বছর মরণপণ যুদ্ধ করে ২১ বছরের জঞ্জাল অপসারণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক সংগঠন পুণর্গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে সফল করে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুই হাজার বছরের পরাধীন জাতিকে মুক্ত করেছেন, পৃথিবীতে বাংলা ভাষা ভিত্তিক বাঙালির একমাত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে সম্মান জানাতে হলে তার দ্বিতীয় বিপ্লব সম্পর্কে পড়তে হবে, বুঝতে হবে। তা না হলে বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিকল্পিত সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদ নয় একটি স্বাধীনতার জন্য জনযুদ্ধ করতে হবে। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করলে ৫২ কিংবা ৬৬ সালে তা করতে পারতেন। ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকার পরও এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নামে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে, দেশটি স্বাধীন করেছে। আমার মা সহ এদেশের অনেক মা বঙ্গন্ধুর জন্য নয় মাস রোজা রেখেছেন। যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা ছিলো পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদসু সবুর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা উত্তর কালে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পূণর্গঠনের জন্য প্রকৌশলীদের সাথে নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকলকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিকে বাধা গ্রস্থ করে দেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় নিয়ে যায় খুনি জিয়া- মোস্তাক চক্র। পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ নেতৃত্বের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করেছেন যা সারা বিশ্বে শেখ হাসিনা মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে ২০৪১ সালে নয় ২০২০ এর মধ্যেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সকল সুযোগে সুবিধা ভোগ করতাম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App