×

পুরনো খবর

আফগানিস্তান নিয়ে শুরু হচ্ছে জি-৭ জরুরি বৈঠক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২১, ১০:৩৫ এএম

আফগানিস্তানের তালেবান শাসকদের সঙ্গে বিশ্বের কূটনৈতিক সম্পর্ক কী হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসছে জি-৭ দেশগুলি। বৈঠক পরিচালনা করবে যুক্তরাজ্য। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতিমধ্যেই তালেবানের আফগানিস্তান নিয়ে একাধিক বিষয় সামনে এনেছেন। জনসন বুঝিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাজ্য তালেবান শাসকদের মেনে নিতে চায় না। তালেবানের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাবও তিনি করেছেন। জি-৭ বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। খবর ডয়েচে ভেলের।

অন্যদিকে, জো বাইডেন জানিয়েছেন, ৩১ অগাস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নিতে চায় আমেরিকা। উদ্ধারকাজ আরও জোরদার করা হয়েছে। আগস্টের মধ্যেই সমস্ত মার্কিন নাগরিককে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

রবিবার হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন জানিয়েছেন, সপ্তাহান্তে প্রায় ১১ হাজার মার্কিন নাগিরক এবং আফগানকে উদ্ধার করে দেশের বিমানে তোলা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ উদ্ধারকাজে আরো জোর দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বাইডেনের কথায়, ৩১ আগস্টের মধ্যেই যাতে উদ্ধারকাজ শেষ হয়, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে আমেরিকা। বস্তুত, উদ্ধারকাজে গতি আনতে সেনার বিমানের পাশাপাশি সিভিলিয়ান এবং কমার্শিয়াল বিমানও আফগানিস্তানে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন যাতে অনেক বেশি মানুষকে দেশে ফেরানো যায়।

বাইডেন বলেছেন, যে ভাবে আফগান নাগরিকরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন, তা দেখে তার কষ্ট হচ্ছে। মনে যন্ত্রণা হচ্ছে। যে সমস্ত নাগরিকরা মার্কিন সংস্থাগুলিকে সাহায্য করেছিল, এমনকী, যারা ন্যাটোর বিভিন্ন সংস্থাকে সাহায্য করেছে, তাদের যাতে দ্রুত আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করে আমেরিকায় আনা যায়, তার সমস্ত প্রচেষ্টা জারি আছে। কাবুল বিমানবন্দর থেকেই আমেরিকা এখন দূতাবাসের কাজ চালাচ্ছে। সেখানে আফগান নাগরিকদের অতীত তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে এবং ভিসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

কাবুল দখলে নেয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ আন্তর্জাতিক পক্ষের সঙ্গে সঙ্গে যেকোন সংঘাত এড়ানোর কথা বলেন৷ তিনি বলেন, কারো প্রতি ইসলামিক এমিরেটের শত্রুতা বা বৈরিতা নেই৷ বৈরিতার অবসান হয়েছে এবং আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই৷ আমরা কোন অভ্যন্তরীন বা বহিরাগত শত্রু চাই না।

বাইডেন জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে মার্কিন বাহিনী। সকলকে যাতে সুষ্ঠুভাবে বিমানবন্দর পর্যন্ত আনা যায়, তার জন্যই যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তালেবান মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন।

বরিস জনসন অবশ্য অ্যামেরিকার কাছে একটি আবেদন করেছেন। তার বক্তব্য, এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের যা পরিস্থিতি, তাতে ৩১ অগাস্টের মধ্যে সকলকে উদ্ধার করা অসম্ভব। ফলে মার্কিন সেনা যেন আরো কিছুদিন সেখানে থাকে। বস্তুত, যুক্তরাজ্যেরও এক হাজার সেনা কাবুল বিমানবন্দরে আছে। তারাও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। কিন্তু অ্যামেরিকা সেনা সরিয়ে নিলে ন্যাটোর অন্য দেশগুলিও সেনা সরাতে বাধ্য হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনসন চাইছেন, জি-৭ এর বৈঠক থেকে তালেবানের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে। অ্যামেরিকা জানিয়েছে, তালেবান কী নীতি নেয়, তা দেখেই তারা সিদ্ধান্ত চাইছে। তবে জি-৭ এর বৈঠকে যে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত আলোচনা হবে, কূটনীতিকদের কাছে তা স্পষ্ট। আফগান শরণার্থীদের নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App