নদীতে আনন্দ ভ্রমণ পরিণত হলো শোকের মাতমে। মাছ ধরার ট্রলারে করে নদীতে ঘুরতে গিয়ে লাশ হলেন স্বামী-স্ত্রী। নিখোঁজ রয়েছে এখনও তাদের আদরের সন্তান্ত সিয়াম। সোমবার (২৩ আগষ্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নবীনগর উপজেলর উরখুলিয়া ও ভৈরবনগর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে তিতাস নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন, উপজেলার কাইতলা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রিয়াদ (৩৫) ও তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২৩)। ট্রলার ডুবির ঘটনায় তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান মারিয়া (৭) এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
রিয়াদ তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সিলেটে বসবাস করতেন।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিয়াদ ও তার পরিবার গত রবিবার মামা শ্বশুরের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোমবার সকালে মোহল্লা গ্রাম থেকে ভৈরবনগরের উদ্যেশে একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে ১০-১২ জন লোক ভ্রমণে বের হন। পথিমধ্যে সোনাপাড়া নামকস্থানে স্পীডবোটের ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে তলিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম হয়ে উঠেছে।
ট্রলারে থাকা শামছুল জানান, প্রতিবছরই আমরা নৌকা ভ্রমনের উদ্দেশে এখানে আসি। স্পীডবোটের ডেউয়ে নৌকাটি তলিয়ে গেলে রিয়াদ ও তার স্ত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার মেয়ে মারিয়া এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশিদ বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ মায়িরাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশু লামিয়ার লাশ উদ্ধার করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার পাশাপাশি নিহত স্বামী ও স্ত্রীর পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।