×

আন্তর্জাতিক

তালেবান নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বরদার কাবুলে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২১, ০৬:৫১ পিএম

তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বরদার গোষ্ঠীটির কমান্ডারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আফগানিস্তানের রাজধানীতে উপস্থিত হয়েছেন।

শনিবার (২১ আগস্ট) একথা জানান দেশটির সাবেক সরকারের নেতা, ধর্মীয় বুজুর্গ ও তালেবানের এক কর্মকর্তা।

বরদার কাবুলে তালেবান কমান্ডার, সাবেক সরকারের নেতা ও নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে এবং অন্যান্যদের মধ্যে ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে ওই তালেবান কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।

কাবুলে তালেবানের শীর্ষনেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ভুক্ত হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা খলিল হাক্কানিকেও দেখা গেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে। খলিল হাক্কানির জন্য পঞ্চাশ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তালেবানপন্থী বিভিন্ন পোস্টে খলিল হাক্কানির সাথে তালেবানের এক সময়কার প্রতিদ্বন্দ্বি গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারকেও দেখা গেছে।তালেবানের তাড়া খেয়ে ১৯৯৬ সালে কাবুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন আশির দশকের রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগান মুজাহেদিনদের গুরুত্বপূর্ণ একাংশের নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার। এখনো আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তালেবানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন,বারাদার সকলের অংশগ্রহণে একটি সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে জিহাদি নেতা ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

বারাদার গত মঙ্গলবার কাতার থেকে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহতম শহর কান্দাহারে পৌঁছান।

গত শুক্রবার তালেবানের নেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানির চাচা খলিল হাক্কানিকে কাবুলের একটি মসজিদে নামাজও পড়তে দেখা গেছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির কারণে সেপ্টেম্বরের আগে সরকার গঠন করবে না তালেবান। আফগানিস্তানের এক কর্মকর্তার বরাতে স্কাই নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

তালেবানের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বরদার কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তি আলোচনায় যোগ দেওয়া গোষ্ঠীটির প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলেন। তাকে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা ওমরের অন্যতম বিশ্বস্ত কমান্ডার বলে বিবেচনা করা হয়। ২০১০ সালে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী তাকে করাচি থেকে গ্রেপ্তার করেছিল তারপর দেশটির কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে তাকে মুক্তি দেয়।

ওই তালেবান কর্মকর্তা জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তানকে পরিচালনার নতুন পরিকল্পনা প্রস্তুতের চেষ্টা করছেন ২০ বছর পর ফের দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবান নেতারা। নতুন সরকারের এই মডেলে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আর্থিক বিষয়গুলো দেখভালের জন্য পৃথক টিম থাকবে।

তিনি আরও জানান, সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য সাবেক সরকারের বিশেষজ্ঞদেরও আনা হবে। নতুন সরকারের কাঠামো পশ্চিমা সংজ্ঞা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক হবে না, কিন্তু তা প্রত্যেকের অধিকার রক্ষা করবে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান লৌহমুষ্ঠিতে আফগানিস্তান শাসন করেছে। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ এ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর আল কায়েদার জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে সামরিক অভিযান চালিয়ে তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পর ২০ বছর ধরে লড়াই করে আসা গোষ্ঠীটি ফের দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App