×

জাতীয়

তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া ঠিক হবে না: শাহরিয়ার কবির

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২১, ১১:১৮ পিএম

তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া ঠিক হবে না: শাহরিয়ার কবির

আফগানিস্তানের তালেবান এবং বাংলাদেশের বিএনপি-জামায়েত-হেফাজত একই ধারার রাজনীতি অনুসরণ করে বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে তালেবানদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে স্বীকৃতি দেওয়া ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (২১ আগস্ট) ‘বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদের উত্থান এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ভয়াল ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এই ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

শাহরিয়ার কবির তার বক্তব্যে বলেন, আফগানিস্তানের মৌলবাদী সন্ত্রাসী তালেবান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে-তাদের রাজনীতি এবং বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত ও তাদের তল্পিবাহকরা একই রাজনীতি অনুসরণ করে। ধর্মের নামে তারা ভিন্নধর্ম, ভিন্নমত, ভিন্ন জীবনধারার অনুসারী বিশেষভাবে নারীসমাজের উপর কী ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালিয়েছে, কিভাবে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে-আমরা ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশে তা দেখেছি। একইভাবে আফগানিস্তানে তালেবানদের প্রথম শাসনামলেও আমরা তা দেখেছি’। এসময় তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ধর্মের নামে সন্ত্রাসের রাজনীতি নিষিদ্ধ না হলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশ জঙ্গি জিহাদিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।

পাকিস্তানকে জঙ্গিগোষ্ঠীর মদতদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করে শাহরিয়ার কবির বলেন, গাজওয়ায়ে হিন্দ-এর কথা বলে তালেবান, আল-কায়দা-আইএসআইএস-এর জঙ্গি সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে—যার প্রধান মদতদাতা হচ্ছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ও আফগানিস্তান তালেবানদের মূল ঘাঁটি পাকিস্তানে। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে তালেবানদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে স্বীকৃতি দেওয়া কোনো শান্তি ও গণতন্ত্রকামী দেশের পক্ষে ঠিক হবে না।

ওয়েবিনারে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অব.) বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। একটা সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলা। আমরা দেখলাম প্রশাসনের সহায়তায় কিভাবে সন্ত্রাসীরা পলায়ন করে। ১৯৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী শীর্ষ নেতাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায়ই ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটে’।

ওয়েবিনারে নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডা. একরাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অস্ট্রেলিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল তালুকদারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী, নাসরিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আহসান খান ও ২১শে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্র শিল্পী পাভেল রহমানসহ অন্যান্যরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App