×

সারাদেশ

দেওয়ানগঞ্জে যমুনা ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২১, ১২:৩০ পিএম

দেওয়ানগঞ্জে যমুনা ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে যমুনার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চুকাই বাড়ী ও চিকাজানি দুটি ইউনিয়নের মানচিত্র।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়িয়া ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। যমুনার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চুকাই বাড়ী ও চিকাজানি দুটি ইউনিয়নের মানচিত্র।

উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়ায় ভাঙনে কয়েক বছরে চিকাজানী খোলাবাড়ীর হাট, খোলাবাড়ী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মাগুরীহাট, দেলোয়ার হোসেন এবতেদায়ী মাদ্রাসা, মসজিদ কবরস্থানসহ আশপাশ এলাকার বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে খোবাড়ী ও মন্ডল বাজার ব্যস্ততম একমাত্র সড়ক।

চুকাইবাড়ী বড়খাল গুলুঘাট হয়ে পূর্ব চুনিয়াপাড়া পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জ রক্ষা বাঁধ নামে হরিণধরা একটি বাঁধ ছিল। বাঁধটি ভাঙনের পর থেকে বিনা বাধায় যমুনা নদী লোকালয়ে ঢুকছে। দুই বছর ধরে নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু খেকুরা বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করায় নদীর ভাঙন বাড়ছে।

দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেটিও এখন ভাঙনের মুখে পড়েছে।

হলকার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দু’তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফা আক্তার শিখা জানান, করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি, স্কুল বুঝে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় থেকে যমুনা ভাঙন মাত্র ৮০ থেকে ৯০ ফুট দূরে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন জানান, দুই বছর ধরে যমুনা ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন রোধ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App