সালথায় কামাইদিয়া রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২১, ০৯:৫৯ পিএম
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের কামাইদিয়া গ্রামের কাঁচা রাস্তাটির বর্তমানে বেহাল দশা হয়েছে। এছাড়া, রাস্তার দুটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। গ্রামে কোন জরুরি সেবার গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না।
সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে মূল পাঁকা রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে গ্রামের ভেতরে হেঁটে প্রবেশ করতে হয়, এ সময় স্থানীয়রা জানায়, কামাইদিয়া গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। মূল রাস্তা থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কওমি মাদ্রাসার দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার। গ্রামে প্রবেশের এই রাস্তাটি ৮/১০ বছর আগে নির্মিত রাস্তাটি এখনও কাঁচা রয়েছে। বছরে যেকোন সময়ে বৃষ্টি নামলেই গভীর কাঁদার সৃষ্টি হয়। কাঁদা মাটি পেরিয়ে গ্রামে ভেতরে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা কষ্টকর, তার উপর আবার রাস্তার মাঝে দুটি কালভার্ট ভাঙা কোন অবস্থাতেই গ্রামে জরুরি সেবার ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, রোগী বহনকারী কোন গাড়ী এমন কি পুলিশের কোন গাড়িও গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না।
আরও জাানা যায়, গ্রামে কোন যানবাহন প্রবেশ করতে না পারায় রোগী নিয়ে স্থানীয়রা বেকায়দায় পড়ে, ফসল বিক্রি করতেও কষ্ট হয় তাদের। গ্রামের ভেতর থেকে মাথায় করে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়। তারপর বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হয়। গ্রামে যারা যানবাহন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা রাস্তার উপর গাড়ি রেখে অথবা পাঁকা রাস্তার পাশে কোন বাড়িতে গাড়ী রেখে তারপর গ্রামের ভেতরে বাড়িতে যান, গাড়ি অন্যত্র থাকায় তাদের পড়তে হয় চিন্তায়। কামাইদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কওমী মাদ্রাসায় বাইরের কোন ছেলে মেয়ে সহজে লেখাপড়া করতে আসে না, আবার অনেক শিক্ষকও স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের কাছে আমাদের দাবির কথা বলেছি, কিন্তু সবাই আশা ভরসা দিলেও কাজের কাজ কিছুই করে নাই। কয়েক দফা উপজেলায় বিভিন্ন অফিসেও তারা যোগাযোগ করেছেন, কোন কাজ হয়নি। অতি দ্রুত রাস্তা পাঁকাকরণ সহ কালভার্ট সংস্কারের দাবি জানিয়েছে কামাইদিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ।
এই বিষয়ে বল্লভদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, আপাতত আমাদের কোন প্রকল্প নেই, ওই রাস্তায় ঘোড়ার গাড়ি, ট্রলি চলাচলের কারনে নষ্ট হয়ে গেছে, চেষ্টা করবো সামনে ঠিক করে দেওয়ার।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, বিয়টা দুঃখজনক, রাস্তাটি পরিদর্শন করে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, পরবর্তীতে যে বরাদ্দ আসবে, সেখান থেকে ওই রাস্তা ও কালভার্ট ঠিক করে দেওয়া হবে।