বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিকল্পনা মাফিক গ্রাহকদের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিতে হবে। উন্নত বিদ্যুৎ সেবা পাওয়া গ্রাহকদের অধিকার। এ লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। গ্রাহক সন্তুষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.), সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আমজাদ হোসেনসহ আরইবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিবেচনা করেই বঙ্গবন্ধু সংবিধানে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূর করাই তার মূখ্য উদ্দেশ্য ছিলো। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) গ্রাহক সংখ্যা এখন ৩ কোটি ১৮ লাখ। এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে উন্নত বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ব্যবহারে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদান রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের নেপথ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে আগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, মানসম্মত বিদ্যুৎ দেয়া আমাদের লক্ষ্য। দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আধুনিক বিশ্বের পর্যায়ে উন্নত করতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো পল্লী অঞ্চলে বিদ্যুতায়ন করা। নিপীড়িত, শ্রমিক-কৃষকের মুখে হাসি ফোঁটানোই বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিলো। এই লক্ষে সবাইকে সজাগ থেকে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার কন্যার নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ আজ শতভাগ বিদ্যুতায়নে দ্বারপ্রান্তে। আগস্ট মাসকে আমরা শক্তিতে পরিণত করেছি। এখন আমাদের আর কাঁদার দিন নেই।