×

জাতীয়

নানা কর্মসুচিতে ঢাকা ক্লাবের জাতীয় শোক দিবস পালন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২১, ০৭:০৯ পিএম

নানা কর্মসুচিতে ঢাকা ক্লাবের জাতীয় শোক দিবস পালন

জাতীয় শোক দিবসে ঢাকা ক্লাবের পক্ষ থেকে দরিদ্রের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি শুরুর আগে পালন করা হয় ১ মিনিট নীরবতা। ছবি: ভোরের কাগজ

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছে ঢাকা ক্লাব লিমিটেড। রবিবার (১৫ আগস্ট) কালো পতাকা উত্তোলন, দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার শহীদ পরিবারের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে দেশের অন্যতম এ ক্লাবটি।

এ দিন দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর একটি সামাজিক সংস্থা ভালো কাজের হোটেলের সহযোগিতায় দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের জন্য খাবার বিতরণ কর্মসুচির শুরু হয়। এ সময় ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), ক্লাবের সদস্য ও কমিটির উপদেষ্টা ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আহমেদ আশকারি, তানভীর আহম্মদ (মিকি), মোহাম্মদ আলী দ্বীন, এইচ এম মোরশেদ, আমিনুর রেজা খান (দুলাল), এস এম সাজ্জাদ হোসেন, মৃণাল কান্তি দাস, সিএসআর কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল করিম ছাড়াও ক্লাবের সম্মানিত সদস্য এ বি এম শামসুদ্দিনসহ অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের জন্য খাবার বিতরণ কর্মসুচির শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এ সময় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি বলেন, বাঙ্গালী জাতীর জন্য একটি শোকাবহ দিন ১৫ আগস্ট। এ বিশেষ দিনটি স্মরণে প্রতিবারের ন্যায়ই ঢাকা ক্লাব নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ভালো কাজের হোটেলের সহযোগীতায় দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

এর পরেই বক্তব্য রাখেন ঢাকা ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল)। তিনি বলেন, স্বাধীন হবার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় দেশকে গড়তে যার নেতৃত্বে নানা কর্মসুচি চলছিল। ঠিক এমনই সময় লুকিয়ে থাকা, ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতা বিরোধী চক্র পাকিস্তানী এজেন্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিছু বিপথগামী সেনাবাহিনী অফিসার তাদের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। এর পর থেকেই আমাদের দেশের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার ইতিহাস ও চেতনার বিরুপ অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়। যা আমাদের জন্য ছিল একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ পান। সে সময় থেকেই স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও বঙ্গবন্ধু খুনীসহ যারা আমাদের মা বোনদের বেইজ্জতি করেছিল এবং স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।। সেই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে কোনভাবেই বাংলাদেশকে চিন্তা করার অবকাশ নাই। যার নেতৃত্বে কোটি মানুষ যুদ্ধে গেছে। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। এ মানুষটিকে আমরা কোনে ভাবেই বিতর্কে নিতে পারবোনা। বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।

এ সময় এ কর্মসুচি পালনে প্রথম থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় বিজিএমই এর সাবেক সহ-সভাপতি এবি এম শামসুদ্দিনকে বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

এবি এম শামসুদ্দিন বলেন, এ দিনে আমরা সবাই ভারাক্রান্ত। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যে যেখানেই আছি মানবতার সেবায় ছোট পরিসরে হলেও কিছু করার চেষ্টা করবো।

ভালো খাবার হোটেলের প্রধান উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান জানান, তারা এ খাবারগুলো দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেবেন। তবে সন্ধ্যার দিকে কমলাপুরে ভালো কাজের বিনিময়ে কিছু খাবার দেয়া হবে। দরিদ্র ও দুঃস্থরা তাদের করা একটি ভাল কাজের কথা জানালেই মিলবে এ খাবার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App