×

জাতীয়

আ.লীগ সুশাসন প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২১, ০৬:২০ পিএম

আ.লীগ সুশাসন প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ ন্যায়বিচার, মানুষের অধিকার আদায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করে। পক্ষান্তরে বিএনপি নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার, শোষণ, প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাকের রাজনীতি করে। এখানেই দুটি রাজনৈতিক দলের পার্থক্য। বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে ধূলিসাৎ হওয়ার পথে। তারা আজ জনগণথেকে বিচ্ছিন্ন।

রবিবার (১৫ আগষ্ট) রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীষর্ক আলোচনা সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এলজিইডি ও ডিপিএইচইর প্রধান প্রকৌশলী, এনআইএলজির মহাপরিচালক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার নির্দেশে ঘটানো হয় ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধুকে শহীদ করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা দীর্ঘ ২১ বছর দেশ ও মানুষকে কি দিয়েছে জাতি তা জানে। বাঙালি জাতির ভাগ্যকে নির্বাসন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান এবং তাদের দোসররা।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, যুদ্ধের পর রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, ব্যাংক বীমা, শিল্প কারখানা সব ধ্বংস হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন ধ্বংসস্তূপ দেশকে জাতির পিতা সোনার বাংলায় রুপান্তরিত করার কাজ শুরু করেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন। অর্থনৈতিক, আর্থ-সামাজিক, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে সক্ষম হন বঙ্গবন্ধু।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা পাকিস্তানিদের দোসর, রাজাকার, আলবদর-আলশামস বাহিনী, স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো অথচ জাতির পিতাকে হত্যার পর কি যোগ্যতার কারণে তাদেরকে উচ্চ পদে আসীন করে সম্মানিত করেছে, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এসব দেখে মুজিব আদর্শের অনুসারীদের কি বুকে রক্তক্ষরণ হয়নি?।

জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশে ফিরে ক্ষতবিক্ষত দলকে পুনঃগঠন করে দেশ ও মানুষের সেবায় ব্রত হয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং তাঁর নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়।

দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এবং শেখ হাসিনার পথ নকশা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিযে যাচ্ছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু আদর্শে পরিচালিত বাংলাদেশ এখন আর কারো মুখাপেক্ষীর দেশ নয়, এ দেশ ফকির মিসকিনের দেশ নয়, এ দেশ ঘুরে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশ।

এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত দুস্থ্যদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধু ফটো গ্যালারী উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এসময়, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ১৫ই আগস্টে শহীদসহ সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App