×

সারাদেশ

রামেক হাসপাতালে দুই সপ্তাহে মৃত্যু দুই শতাধিক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২১, ০৯:০৭ এএম

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুই সপ্তাহে দুই শতাধিক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে সর্বশেষ একদিনে মারা গেছেন ১১ জন। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৮ টা থেকে শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মারা যান এ ১১ জন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, আগস্ট মাসে ১ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ২০৩ জন। এদের মধ্যে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা পজেটিভ অবস্থায়। আর ৯৮ জন মারা গেছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে। এছাড়া ২৬ জনের প্রাণ গেছে করোনা নেগেটিভ থেকেও। এ ১৪ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জন মারা যান গত ১০ আগস্ট। আর একদিনে সর্বনিম্ন ৯ জনের মৃত্যু হয় ১২ আগস্ট।

তথ্যমতে, দুই সপ্তাহে করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৫৩০ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯২জন। একদিনে সর্বোচ্চ ৫২ জন ভর্তি হন গত ৮ আগস্ট। আর সর্বনিম্ন ২৬ জন ভর্তি হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। এছাড়া গত ২ আগস্ট একদিনে সর্বোচ্চ ৫৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং সর্বনিম্ন ১৪ জন ছাড়া পান সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টাতেই।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে করোনা পজেটিভ ছিলেন ৯ জন। আর একজন করে বাকি দুইজন মারা গেছেন করোনা উপসর্গ ও নেগেটিভ অবস্থায়। মৃতদের মধ্যে রাজশাহী ও নাটোরের রয়েছেন ৪ জন করে ৮ জন। আর নওগাঁর দুইজন এবং একজন মারা গেছেন কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। সর্বশেষ একদিনে করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন। এটিই একদিনে সর্বনিম্ন ভর্তি ও ছুটি পাওয়া রোগীর সংখ্যা। রামেকের করোনা ইউনিটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩৩০। এদের মধ্যে ১৭৯ জন করোনা পজেটিভ রোগী। হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৫১৩টি বেডে প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য।

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী ভোরের কাগজকে বলেন, বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা থাকার কারনে করোনা উপসর্গ ও নেগেটিভ অবস্থায় অনেকেই মারা যাচ্ছেন। যদিও তাদের করোনা পজেটিভ আসছে না। তবে শতভাগ সেবা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। আগের তুলনায় পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। কমে আসছে মৃত্যু, আক্রান্ত ও রোগী ভর্তির সংখ্যা। শীঘ্রই অবস্থার আরো উন্নতি হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App