×

জাতীয়

রপ্তানীকৃত গার্মেন্টস পণ্যের ৩৫-৪০ শতাংশ চুরি করতো চক্রটি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২১, ০৯:১১ পিএম

রপ্তানীকৃত গার্মেন্টস পণ্যের ৩৫-৪০ শতাংশ চুরি করতো চক্রটি

শনিবার চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ছবি: ভোরের কাগজ

রপ্তানীর উদ্দেশ্যে কাভার্ড ভ্যান করে চট্টগ্রাম বন্দরের নেয়ার পথে গার্মেন্টস পন্য চুরি করতো চক্রটি। কৌশল হিসেবে মোট পণ্যের ৩৫-৪০ শতাংশ চুরি করতো তারা। যাতে চুরির বিষয়টি সহজেই ধরা না যায়। এছাড়াও সিলগালা তালা না ভেঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের পাশের বেষ্টনীর নাট-বল্টু খুলে পন্য চুরি করতো তারা। ফলে প্রথমে ধরা না পড়লেও রপ্তানী হওয়ার পর ক্রেতারা পন্য কম বলে অভিযোগ পাঠাতো। এমতাবস্থায় ক্ষতিসহ বাইরের ক্রেতাদের কাছে সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছিলো দেশীয় ব্যবসায়ীদের।

নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানা এলাকা থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের গার্মেন্টস মালামালসহ সংঘবদ্ধ আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) মোজাম্মেল হক। মিরপুরের পাইক পাড়ার র‌্যাব-৪ এর প্রধান কার্যালয়ে শনিবার (১৪ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সিও বলেন, সম্প্রতি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, রাজধানীসহ গাজীপুর থেকে গার্মেন্টস মালামাল বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের নেয়ার পথে কিছু-কিছু কাভার্ড ভ্যান থেকে প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ দামী গার্মেন্টস মালামাল উধাও হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় অপরাধীদের চিহ্নিত করতে ছায়া তদন্ত শুরু করি আমরা। এরই ধারাবাহিকতায় বন্দর থানাধীন তালতলা, ধামগড় এলাকা থেকে ৬জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।

তারা হলো- সিরাজুল ইসলাম (২৭), মো. জহির (৪০), মো. জনি (২৪), মো. জমির খান (৪০), মো. নুর জামান (৫৮) ও মো. তাবারক হোসেন (৩৯)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা মূল্যের চোরাইকৃত ৪১ বস্তা ও ৫০৬ কার্টুন ভর্তি গার্মেন্টস সামগ্রী, মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত ২টি কাভার্ড ভ্যান, ১টি প্রাইভেটকার ও ১০টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানীর গার্মেন্টস মালামাল চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা। এ চক্রটি সাধারণত কাভার্ড ভ্যানের চালকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে। পরে বিভিন্ন প্রকার লোভসহ চুরির মালামাল বিক্রির টাকার অংশ দেয়ার কথা বলে রাজি করে তাদের এ কাজে জড়ায়।

এ চক্রের হোতা পলাতক হিমেল নামে এক ব্যক্তি। তারই নির্দেশে গ্রেপ্তারকৃতরা ছাড়াও পলাতক কেয়ারটেকার শহিদুলকে নিয়ে বিশেষ কৌশলে কাভার্ড ভ্যানের সিলগালা তালা না খুলে পাশের বেষ্টনীর ওয়ালের নাট-বল্টু খুলে ছুরি করতো তারা। মালামালসহ সম্পূর্ণ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানও মাঝে মাঝে লুট করেছে চক্রটি। মালামালের গুণাগুণ উন্নত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে গার্মেন্টস মালামালের চাহিদা ছিল ব্যাপক। এমন চুরি করা পন্য গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ও তার সহযোগী নুর জামান খুব দ্রুততম সময়েই বিক্রি করে ফেলতো। পরে প্রত্যেকের কাছে টাকাও পৌঁছে দিতো তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App