নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মোল্লাকে (৫০) গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত হারুনুর রশিদ মোল্লার ভাতিজা রমিজ উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন নামের দুইজনকে আহত অবস্থায় নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের চৌকিদার হাট বাজার এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত হারুনুর রশিদ মোল্লা উপজেলার পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের নছিবুল হকের ছেলে এবং আন্ডারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুইবার বিএনপির সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।
আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আহম্মদ উল্যা ও কাজী আলী আহম্মদ বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রমিজ উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিনকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চৌকিদার হাট বাজারে যাচ্ছিলেন হারুনুর রশিদ মোল্লা। তাদের মোটরসাইকেলটি চৌকিদার হাটের পশ্চিম পাশে সাদাবুড়ির মসজিদ সংলগ্ন নার্সারীর সামনে পৌঁছালে অতর্কিত গুলি ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা।
এসময় হারুন মোল্লাসহ অন্য দুইজন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে হারুন মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায। এরপর হারুন মোল্লাসহ অপর দুইজনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই হারুন মোল্লার মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক গুলির চিহৃ ও কোপের দাগ রয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, হারুনুর রশিদ মোল্লাকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় আরো দুই জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.আকরামুল হাসান হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।