×

সারাদেশ

কেশবপুরে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফল মাস্টার্স পাস সহোদর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২১, ০৩:০৭ পিএম

কেশবপুরে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফল মাস্টার্স পাস সহোদর

অপু ও তপু নামের দুই সহোদর মিলে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে ১৬ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে। ছবি: ভোরের কাগজ

যশোরের কেশবপুরে মাস্টার্স পাস সহোদর মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। অপু আর তপু নামে এ দু'ভাই মাত্র ৫/৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ১৬ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ইতোমধ্যে তারা ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন।

সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের আব্দুল গনি দফাদারের ছেলে অপু ও তপু মাস্টার্স পাস করেছেন। ক্যারিয়ার গড়তে চাকরি খোঁজার পাশাপাশি তাঁরা কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব ও যশোরের ঝিকরগাছার সফলচাষি তাদের ফুফাত ভাইয়ের পরামর্শে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে ১৬ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা অর্জন করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অপু ও তপু বলেন, মাত্র ৪৫ দিনে অল্প টাকা বিনিয়োগ করে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। জেসমিন-২ জাতের তরমুজের স্বাদ যেমন ভাল, তেমনি ভাল ফলনও পাওয়া যায়। কড়া মিষ্টির কারণে বাজারে এর চাহিদাও বেশি। ১৬ শতক জমিতে তরমুজ চাষে তাঁদের ৫/৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

তাঁরা জানান, প্রথমে ৫ শতাধিক চারা রোপন করা হয়। এরপর ফল ধরা শুরু হলে প্রত্যেক গাছে দু’টি ফল রেখে বাকি ফল কেটে দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করলে প্রায় ২ হাজার কেজি তরমুজ উৎপাদন করা সম্ভব। ইতোমধ্যে তাঁরা এ পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছে। ক্ষেতে থাকা অবশিষ্ট তরমুজ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে।

বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন দু’টি জাতের তরমুজের ভাল ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে জেসমিন-২ জাত ৪৫ দিনে ও ব্লাক জাম্বু ৬৫ দিনে ফল দেয়। জেসমিন-২ ওজনে প্রায় আড়াই কেজি ও ব্লাক জাম্বু ৫/ ৬ কেজি হয়। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করলে ইউরিয়া সার বাদে প্রায় সব ধরণের সার ব্যবহার করতে হয়। ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ জাতের তরমুজের বীজগুলো ভালভাবে অঙ্কুরিত হয়। ফুল ও ফল আসার পর গাছে জিঙ্ক, বোরণ ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। উষ্ণ জলবায়ুতে সবচেয়ে তরমুজ ভাল জন্মায়।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনাথ বন্ধু দাস বলেন, তরমুজের জন্য প্রচুর রোদ এবং শুস্ক আবহাওয়া প্রয়োজন। এ জাতের বীজ বপন ও উৎপাদনের মৌসুম ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। খরা ও উষ্ণ তাপমাত্রা সহনশীল উন্নত জাতের তরমুজের বীজ উর্বর দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে রোপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। বীজ বপনের জন্য ফেব্রুয়ারি মাস উপযোগী। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ অসময়ে একটি লাভজনক ফসল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App