দেশব্যাপী অব্যাহত সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, এসব হামলা পরবর্তীতে আর বিলাপ করে নয়, হামলা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, কথায় নয় দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে জাতিকে আশ্বস্ত করুন। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নানাবিধ সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়ে তিনি সরকারের কাছে দু’দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন। আর তা না হলো আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কয়েক লক্ষ নাগরিকের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে গণস্বাক্ষর স্মারকলিপি দেয়া হবে। পাশাপাশি  আগামী বছরের (২০২০ সালে) ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকা অভিমুখে গণমিছিল বা রোড মার্চ করারও ঘোষনা দেন তিনি।  জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে  দলমত ধর্ম সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান রানা দাশগুপ্ত।

চট্টগ্রামের সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. জিনবোধী মহাথেরো এর সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুবেল পালের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তাপস হোড়, কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সদস্য এড. প্রদীপ চৌধুরী, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় নেতা সাধন ধর, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব, চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন ও নিলু নাগ প্রমুখ। এই সমাবেশে বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার সহকারে সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশ শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আন্দরকিল্লা মোড়ে এসে শেষ হয়।