মাদক মামলায় অভিযুক্ত চিত্রনায়িকা পরী মনি, ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৮ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের মধ্যে বাকি তিন সেলিব্রেটি হলেন-  মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, মরিয়ম আক্তার মৌ এবং প্রযোজক নজরুল ইসলাম। একই চিঠিতে আরও তিনজনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তারা হলেন- রোজিনা আক্তার, যার ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে বরিশালের বানারীপাড়া এবং ঢাকার মোহাম্মদপুরের নেয়ামত উল্লাহর দুই ছেলে সালেহ চৌধুরী ওরফে কার্লোস ও মিশু হাসান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি বুধবার অনেক ব্যাংক পেয়েছে বলে জানা গেছে। চিঠি পাওয়ার তিন কর্মদিবসের মধ্যে এদের অ্যাকাউন্টের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে পরী মনির পুরো নাম শামসুন নাহার স্মৃতি উল্লেখ রয়েছে। ঠিকানা দেয়া হয়েছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া।

জানা গেছে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধে এসব ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ। এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, শুরু থেকে লেনদেন বিবরণী, কোনো ধরনের সঞ্চয় বা ঋণ হিসাব থাকলে তার স্থিতিসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এসব তথ্য পর্যালোচনায় কোনো অসঙ্গতি পেলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। শিগগিরই আরও অনেকের তথ্য চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।

পিয়াসা ও জিমি কারাগারে:

রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তিন দিনের রিমান্ড শেষে সমালোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৬ আগস্ট শুনানি শেষে আদালত পিয়াসাকে গুলশান থানার মামলায় দুই দিন, ভাটারা থানার মামলায় তিন দিন এবং খিলক্ষেত থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১ আগস্ট রাত ১০ টায় রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। পরে পিয়াসাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ করিম ওরফে জিমির রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই আদালত একইদিনে এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ৭ আগস্ট জিমির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। এছাড়া মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

৬ আগস্ট রাতে বনানী থেকে ইয়াবাসহ জিমিকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মাদক মামলাটি দায়ের করে গোয়েন্দা পুলিশ।