×

জাতীয়

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ডিজাইনে ভুল থাকলে সংশোধন করতে হবে: স্থানীয়সরকার মন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২১, ০৬:০১ পিএম

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ডিজাইনে ভুল থাকলে সংশোধন করতে হবে: স্থানীয়সরকার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয়সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: ভোরের কাগজ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, চট্রগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ, চট্রগ্রাম পোর্ট অথোরিটি এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনসহ অন্যান্য সকল সমস্যা সমাধান করা হবে।

চট্রগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনে কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রী।

আজ বুধবার (১১ আগস্ট) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে 'চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন' শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, 'চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া, চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেও প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের অধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসনে যে নকশা করা হয়েছে সেগুলো আজকের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনঃবিবেচনা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

সমস্যা সমাধানে চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নেয়ার কথা উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার মাস্টার প্ল্যান এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসমূহের অবকাঠামোর ডিজাইনে কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইনে ওয়াটার পন্ড নির্মাণ ও স্থান নির্বাচনের বিষয়ে যৌথ পর্যালোচনারও পরামর্শ দেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অবকাঠামোসমূহের নির্মাণকাজ বাস্তবসম্মত ও টেকসই হতে হবে যাতে চট্টগ্রামবাসী প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি সুফল ভোগ করতে পারে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে কোন গাফলতি মেনে নেয়া হবে না। এমন কোন কাজ করা যাবে না যার জন্য পরবর্তীতে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছি। মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর এবং স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তাই জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকায় সব জায়গায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু মানুষ যদি অসচেতন হয় তাহলে ডেঙ্গু মোকাবেলা করা কঠিন হবে।

সারা পৃথিবীতে এক মিলিয়নের বেশি মানুষ প্রতিবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় উল্লেখ করে তিনি জানান এটি শুধু আমাদের জন্য নয় বৈশ্বিয়িক চ্যালেঞ্জ। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, জুলাই মাসের শেষের তথ্য অনুযায়ী, ভিয়েতনামে ৩৭ হাজার, ফিলিপাইনে ৩১ হাজার, মালয়েশিয়া নিজেদের সফল হিসেবে দাবি করে তাদের ১৫ হাজার এবং সিঙ্গাপুরে ৩ হাজার ৫০০ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে বিশ্বের অন্য দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কি পর্যায়ে রয়েছে তা আমাদের জন্য বড় বিষয় নয়। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। উভয় সিটি কর্পোরেশনে বিশ জন ম্যাজিট্রেট দিয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় বাসা বাড়িতে পানি জমে থাকায় এডিস মশা বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনও মৃত্যুবরণ করুক এটা কারও কাম্য নয়। এসব অস্বাভাবিক মৃত্যু আমাদেরকে ব্যথিত করে।

সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App