×

সারাদেশ

দৌলতপুরে কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২১, ১০:৪০ এএম

দৌলতপুরে কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ

কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জহুরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার আল্লারদর্গা শিল্প এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। জহুরুল ইসলাম আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তার পরিবারের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধের জেরে তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তাপু ও দুই সন্তানকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা শিল্প এলাকায় অবস্থিত নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক জহুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী একই কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন তাপুর মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তাপু বাবার বাড়িতে চলে যান। তিনি প্রায় ৬ মাস বাবার বাড়ি থাকার পর গত দুদিন আগে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। এর পরপরই সোমবার বিকেলে শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় জহুরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

জহুরুল ইসলামের ছোট ভাই দৌলতপুর মডেল কলেজের শিক্ষক, সাংবাদিক আহাদ আলী নয়ন ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, সম্পদ আদায় না করতে পারার আক্রোশে জহুরুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে তার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া এক ছেলে এবং মাধ্যমিকে পড়ুয়া এক মেয়ে রয়েছে। ঘটনার পর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তাপু এবং পুত্র ও কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জহুরুল ইসলাম ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তাদের।

কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষক অ্যাম্বাসেডর জহুরুল ইসলাম এ উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের আলমাতলা গ্রামের মৃত পলান মণ্ডলের ছেলে। তারা পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে চার ভাই কলেজ শিক্ষক। তার বড় ভাই অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম দৌলতপুর মডেল কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। মেজো ভাই কুষ্টিয়ার একটি কলেজে শিক্ষকতা করছেন এবং সেজো ভাই সাংবাদিক আহাদ আলী নয়ন দৌলতপুর মডেল কলেজের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক।

এদিকে সবার প্রিয় অত্যন্ত সদালাপী শিক্ষক জহুরুল ইসলামের এই অকাল মৃত্যুর ঘটনায় এখানকার শিক্ষক মহলসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার আকস্মিক মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যা আসলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App