ইয়ার্নের মূল্যবৃদ্ধি, পোশাক শিল্পে উদ্বেগ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২১, ০৯:২৯ পিএম
বিজিএমইএ অফিসে রবিবার স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত ইয়ার্ণের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা।
দেশীয় বাজারে ক্রমবর্ধমান হারে ইয়ার্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, পোশাক শিল্পের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গণহারে টিকাদান কার্যক্রম নেয়ায় এসব দেশে দোকানপাট খুলছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে পোশাক শিল্পে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসলেও উদ্যোক্তারা তা নিতে পারছেন না শুধুমাত্র স্থানীয় পর্যায়ে ইয়ার্ণের অনিশ্চিত ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারনে।
বিজিএমইএ অফিসে রবিবার স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত ইয়ার্ণের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কথা বলেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও টেরিটাওয়েল নেতারা। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক রাজিব চৌধুরী, সাবেক পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন, বিকেএমইএ এর ১ম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিকেএমইএ এর পরিচালক ফজলে শামীম এহসান, বিটিটিএলএমইএ এর চেয়ারম্যান এম শাহাদাত হোসাইন।
সভায় রপ্তানিকারকরা বলেন, বর্তমানে স্থানীয় মিলগুলো ইয়ার্ণের দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে, যা এক কথায় অসহনীয়। নূন্যতম সময়ের মেয়াদ দিয়ে প্রোফর্মা ইনভয়েস (পিআই) দিচ্ছে, যে সময়ের মধ্যে এলসি খোলা দুরুহ। অথচ ক্রেতাদের সঙ্গে অর্ডার কমফার্ম হতেও তার থেকে অনেক গুন বেশি সময় লেগে যায়। এ কারনে অনেক উদ্যোক্তা অর্ডার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে, অনেকে লোকসান দিয়ে অর্ডার নিচ্ছেন শুধুমাত্র কারখানা চালু রাখতে। আর ক্রেতারা শুধুমাত্র এফওবি দেখছেন, মূল্য বাড়াচ্ছেন না, যার ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাক শিল্প প্রতিযোগী সক্ষমতা ক্রমেই হারাচ্ছে।
ইয়ার্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় শিল্পে যে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো কিভাবে সমাধান করা যেতে পারে, সে বিষয়ে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে, সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর অবগতির জন্য অনতিবিলম্বে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইয়ার্ণ এর মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারনে পোশাক শিল্পে সৃষ্ট সংকট তুলে ধরা হবে এবং যৌক্তিক মূল্যে ইয়ার্ণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হবে।