×

রাজধানী

হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণের বিচার হয়নি ৪ বছরেও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২১, ০৯:৫৯ এএম

হোটেলে দুই ছাত্রী ধর্ষণের বিচার হয়নি ৪ বছরেও

বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার বিচার চার বছরেও শেষ হয়নি। এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগী মামলা দায়েরের পর তদন্ত শেষে সাড়ে তিন বছর আগে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়।

এরপর দীর্ঘ সময় পার হলেও সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রমই শেষ হয়নি। অথচ পাঁচ আসামিই জামিনে মুক্ত হয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মূলত সাক্ষী হাজির না হওয়া ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বিভিন্ন অজুহাতেই বিচারকাজে বিলম্ব হচ্ছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

তবে শিগগিরই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে পৌঁছবে বলেও আশা করছেন তারা। জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।

ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে বনানী থানায় ধর্ষণের মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। এরপর ১০ মে রাতে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে।

তদন্ত শেষে ৮ জুন সাফাতসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। তারপর ওই বছরের ১৩ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (২)-এর বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আসামি সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারা এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৯ (১) এর ৩০ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। চার্জশিটে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হলেও অদ্যাবধি ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষ হয়েছে।

সাফাত আহমেদ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাফাতের দুই বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম ও সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলি। আসামিদের মধ্যে শুধু দেহরক্ষী রহমত আলি ছাড়া বাকি সবাই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপরও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ না হতেই সব আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে গেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App