×

জাতীয়

শ্রমিকদের টিকা ও ঝুকি ভাতা দেবার দাবি স্কপের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২১, ০৬:০৬ পিএম

শ্রমিকদের টিকা ও ঝুকি ভাতা দেবার দাবি স্কপের

শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ স্কপ

করোনায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অগ্রাধীকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া এবং ঝুকিভাতা দেবার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ স্কপ। শুক্রবার ৬ (আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা। এছাড়া সমাবেশ থেকে করোনায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের হয়রানির জন্য দায়িদের শাস্তি, শ্রমিকদের যাতায়াত ব্যায়, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং চাকরিরত শ্রমিকের করোনা সংক্রমণে মৃত্যুতে সরকারী কর্মচারীদের সমান ক্ষতিপুরণ দেবার দাবিও জানান হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে স্কপ যুগ্ম সমন্বয়কারী শহিদুল্লাহ চৌধুরী এর সভাপতিত্বে আহসান হাবিব বুলবুল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অর্থ নম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক লীগের ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসাইন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ইন্ডাষ্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিল (ওইঈ) এর সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্প রক্ষা জাতীয় মঞ্চের আহবায়ক আবুল হোসেন, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার।

সমাবেশে স্কপ নেতারা গণপরিবহন বন্ধ রেখে কারখানা খোলার মত দায়িত্বহীন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ঈদের অনেক আগেই ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত ১৪ দিন কঠোর লকডাউন চলাকালে সকল শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেয় হয়। ফলে শ্রমিকরা ঈদের ছুটিসহ ১৭ দিনের ছুটিতে ঢাকায় অবস্থান না করে গ্রামের বাড়িতে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এই অবস্থায় কর্মস্থলে অবস্থানকারী শ্রমিকদের দিয়ে উৎপাদন চালানোর প্রতিশ্রুতিতে কারখানা খোলার অনুমোদন নিয়ে সেই শর্ত প্রকাশ না করে একদিনের নোটিশে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত প্রচার করা মালিকদের পরিকল্পিত প্রতারণামূলক কৌশল।

এদিকে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিয়ে. ফোন করে এবং ম্যসেজ পাঠিয়ে সকল শ্রমিককে ১ আগষ্ট থেকে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে শ্রমিকদের একদিনের মধ্যে নৌকা, ফেরি, ট্রাক, কভারড ভ্যান, পিকআপ সহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহনে করে, পায়ে হেটে অবর্ণনীয় কষ্ট এবং তিন চারগুন বেশি খরচ করে কর্মস্থলে আসতে হয়েছে। কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় নাই। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। শ্রমিকদের এই হয়রানি আর ঝুঁকির দায় মালিকরা এড়াতে পারেনা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App