মামলার শুনানিতে যা বললেন পরীমনির আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২১, ১১:১০ পিএম
পরী মনির আইনজীবী শুনানীর পর কথা বলেন গনমাধ্যমের সঙ্গে। ছবি: ভোরের কাগজ
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কথা বলছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।
বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আলোচিত সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরী মনিকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেন।
এদিকে মামলার শুনানিতে পরী মনির রিমান্ড ও জামিন আবেদনের চেয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবী।
[caption id="attachment_301114" align="aligncenter" width="759"] পরী মনির আইনজীবী শুনানীর পর কথা বলেন গনমাধ্যমের সঙ্গে। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]
রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, সরকার যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সেখানে পরী মনির বাসায় সর্বনাশা বিপুল পরিমাণের মাদক পাওয়া গেছে।এই মাদক কোথা থেকে আসল? তার উৎস কী? কে এই মাদক পাঠাল? দেশে যারা ভদ্র মুখোশধারী রয়েছেন তাদের খুঁজে বের করতে এ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে পরী মনির বাসায় পাওয়া মদের বোতলগুলো খালি ছিল দাবি করে সেগুলো শুধুমাত্র ঘরের শোভা বর্ধনে রাখা ছিল বলে উল্লেখ করেন পরীমনির আইনজীবী নীলঞ্জনা রিফাত সুরভি। তিনি বলেন, পরী মনির বাসা থেকে যে সাড়ে ১৮ লিটার মদ উদ্ধার দেখানো হয়েছে তা তার বাসায় ছিল না। তার বাসায় কয়েকটি খালি মদের বোতল ছিল। সেগুলো ডেকোরেশন পিস হিসেবে রাখা ছিল। এগুলো জব্দ তালিকায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার কাছে কোনো আইস এবং এলএসডি ছিল না।
[caption id="attachment_301115" align="aligncenter" width="1200"] রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কথা বলছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]
শুনানিতে তিনি আদালতকে আরও বলেন, এ মামলায় পরী মণিকে হয়রানির কারণ পেছনের একটি দ্বন্দ্ব (নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা)। তার মানসম্মান নষ্টের জন্যেই এ মামলা। স্বনামধন্য একজন নায়িকার মানসম্মান যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সেজন্য রিমান্ড না মঞ্জুর করা প্রয়োজন। তাকে জামিন দেয়া উচিত।
তবে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরী মনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকেও চারদিনের রিমান্ডে নিতে আদেশ দেওয়া হয়।