ভুঁইফোড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা দর্জি মনির ৪ দিনের রিমান্ডে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২১, ০৫:১৬ পিএম
দর্জি মনির। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ নামে ভুঁইফোড় সংগঠন খুলে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা মামলায় এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি কামরাঙ্গীচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এদিন আদালত মামলাটি তদন্ত করে তার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহারে বাদী ঈসমাইল হোসেন বলেন, গত ৩০ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে কামরাঙ্গীরচর থানার মাদবর বাজার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনির তার সংগঠনের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করিয়ে দেওয়ার নাম করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তিনি ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ছবি এডিট করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবি প্রচার করে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে আসছেন। এভাবে নিজেকে বড় মাপের নেতা হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করতেন।
এই সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের নাম করে টাকা আদায় এবং চাকরি দেওয়া বা পদায়নের জন্য টাকা আদায় করতেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, একটি ছোট দর্জির দোকানের চাকরি করতেন মনির। হঠাৎ করে নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বন্ধু হন। একেক সময় একেক রাজনৈতিক পদবী, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসিয়ে নিজেকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দাবি করেন। তিনি ও তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরী এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন।