×

জাতীয়

হোটেল রেস্তোরাঁ খোলা রাখতে চায় ব্যবসায়ীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২১, ১২:৩২ পিএম

মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখায় এ পর্যন্ত সার্বিকভাবে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। যদি তা সম্ভব না হয় তবে অন্তত ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু রাখার দাবি করে তারা। এছাড়া হোটেল ব্যবসায় এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক নীতিমালা না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তারা।

করোনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত রেস্তোরাঁ খাত বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এসব দাবি জানায় । সোমবার (২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, মহাসচিব ইমরান হাসান, যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, প্রধান উপদেষ্টা রুহুল আমিন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারাদেশে ৬০ হাজার রেস্তোরাঁয় ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে যারা এখন আমাকে তো জীবন যাপন করছে। সারাদেশে অন্তত শতকরা 80 ভাগ রয়েছে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে থেকে পার্সেল অনলাইন ডেলিভারি করছে এমন প্রতিষ্ঠান সংখ্যা হোটেল-রেস্তোরাঁর অনুপাতে মাত্র দুই থেকে ৩ শতাংশ।

সংগঠনটি আরো জানায়, পচনশীল পণ্য বিক্রি করার ক্ষেত্রে ঋণ দেয়া যাবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ রয়েছে। তাই কোন ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে না। পাশাপাশি ই.এফ.ডি মেশিন স্থাপন এবং তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ভোট আদায়ে হয়রানি চলছে। জাতীয় রাজস্ব খাতে রেস্তোরাঁ খাতের অনেক অংশীদারিত্ব এবং পর্যটন শিল্পের প্রধান নিয়ামক শক্তি হওয়া সত্বেও শিল্পের মর্যাদা পাচ্ছি না। এমন পরিস্থিতিতে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কিছু দাবি তুলে ধরেন তারা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী খোলা রাখার অনুমতি নিতে হবে যদি সম্ভব না হয় তবে অন্তত অর্ধেক আসনে বসিয়ে হোটেলের চালু রাখতে চায়। হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে চলমান রাখার জন্য এসএমএস হাত থেকে বিশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

হোটেল রেস্তোরাঁ সেবা খাত হিসেবে বিবেচিত, তাই হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক-শ্রমিককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার দাবি করেন। এ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রণোদনা দিতে হবে। পেছনে শ্রমিকদের মোবাইলের মাধ্যমে নগদ অর্থ অথবা নির্দিষ্ট কার্ডের মাধ্যমে মাসিক ভাবে খাদ্যসাহায্য দেওয়া যেতে পারে। হোটেল রেস্তোরা খাতকে শিল্পের মর্যাদা দিতে হবে। অন্যদিকে, একাধিক মন্ত্রণালয়ের অধীনে না রেখে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে দিয়ে এ খাতকে শিল্পের মর্যাদা দিতে হবে এবং মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

চালুকৃত ই-কমার্স টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন করা ও একটি সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App