×

সারাদেশ

শেরপুরে গণটিকার আওতায় আসছে আরও ১ লাখ মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২১, ১০:১৯ পিএম

শেরপুরে গণটিকার আওতায় আসছে আরও ১ লাখ মানুষ
শেরপুরে আগামী ৭ আগস্ট থেকে করোনা ভাইরাসের গণটিকাদান কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ আগস্ট ) দুপুরে জেলা পর্যায়ের ভার্চুয়াল ওই পরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় অত্যন্ত সাহসী ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার মহল বিশেষের নানা সমালোচনাকে তোয়াক্কা না করে দেশে পর্যাপ্ত টিকার আমদানি করেছে। এছাড়া চাহিদা মেটাতে আরও প্রয়োজনীয় টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য তিনি গণটিকাদান কর্মসূচি সফল করতে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লি­ষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও গণটিকা নিয়েই আমাদেরকে করোনার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পেতে হবে। জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ প্রমুখ। সভায় জেলা প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা, সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ কতিপয় ইউপি চেয়ারম্যান অংশ নেন। সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ জানান, ওই পরিকল্পনা সভায় গণটিকাদান কর্মসূচি সফল করতে জনসচেতনতায় প্রচারাভিযান পরিচালনাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের আলোকে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ওই কর্মকান্ডে সর্বোচ্চ তদারকি বাড়ানোর উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে ৩ দিনে জেলায় ৪টি পৌরসভা, ৫২টি ইউনিয়নে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়সীসহ ১ লাখ মানুষকে গণটিকা দেওয়া হবে। এজন্য ৫২টি ইউনিয়নে একটি করে সেন্টার থাকবে এবং ওই সেন্টারগুলোতে ৩টি করে বুথ থাকবে। এছাড়া শেরপুর পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্র ও নালিতাবাড়ী পৌরসভায় ৩টি কেন্দ্রসহ প্রতিটি কেন্দ্রে ৩টি করে বুথ থাকবে। আর নকলা ও শ্রীবরদী পৌরসভায় নিজস্ব স্বাস্থ্যকর্মী না থাকায় ওই দুটি পৌরসভায় ইউনিয়নের সমপর্যায়ে অর্থাৎ একটি করে কেন্দ্রে ৩টি বুথ থাকবে। প্রতিটি বুথে ২ জন টিকাদানকর্মী ও ৩ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত সর্বনিম্ন ২৫ বছর বয়সী ৭৮ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ ও ২২ হাজার মানুষ দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে জেলায় ২৫ হাজার টিকা মজুত রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক অবশিষ্ট টিকা ৭ আগস্টের মধ্যেই হাতে পৌঁছে যাবে। সোমবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গনটিকা গ্রহনে জনগনকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারাভিযানের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App