×

সারাদেশ

তাড়াইলে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ, আটক ১

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২১, ০৯:৪৫ পিএম

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের দায়ে ভূক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক ও সহযোগীতাকারীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাড়াইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের শিমুলআটি গ্রামের মতিউর রহমান ভূঞার ছেলে ধর্ষক কারিমুল ইসলাম (২৭) উপজেলার ধলা ইউনিয়নে মামার বাড়ি হওয়ার সুবাদে প্রায়ই সেখানে যাতায়াত ছিল। সেই সুবাদেই ভূক্তভোগীর সঙ্গে পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রবিবার (১ জুলাই) সকালে ধর্ষক কারিমুল ইসলাম মুঠোফোনে ভূক্তভোগী ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের জন্মনিবন্ধন নিয়ে শিমুলআটি বাজারে আসার জন্য বলেন। ধর্ষক কারিমুলের কথামত ভূক্তভোগী ওই নারী শিমুলআটি বাজারে যাওয়ার পর ধর্ষক কারিমুলের কথামত শিমুলআটি গ্রামের শহীদ মিয়ার স্ত্রী হেপি আক্তার ভূক্তভোগী ওই নারীকে নিয়ে নিজের বাবার বাড়ি রাউতি ইউনিয়নের মেষগাঁও বন্দের বাড়ি নূর ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ঘরের ভিতরে দুজনকে রেখে বাইরে তালা দিয়ে রাখেন হেপি আক্তার।

একা পেয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই নারীকে আনুমানিক সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণের পর হেপি আক্তারের যোগসাজেশে ধর্ষক কারিমুল ইসলাম পালিয়ে যায়। ভূক্তভোগী নিজ বাড়িতে ফিরে এসে স্বজনদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানানোর পর রবিবার দিবাগত রাত ১২ টা ৩০ মিনিটের দিকে ধর্ষণে সহযোগীতা করায় হেপি আক্তারসহ ধর্ষকের বিরুদ্ধে তাড়াইল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ০২।

এ ব্যাপারে তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জয়নাল আবেদীন সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভূক্তভোগীর মামলার প্রেক্ষিতে ধর্ষণে সহযোগীতা করায় হেপি আক্তারকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত কারিমুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ধর্ষককে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাড়াইল থানার পুলিশ। ভূক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আটককৃত আসামিকে কিশোরগঞ্জ কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App