×

জাতীয়

রবিবার দুপুর পর্যন্ত যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২১, ০৮:১৪ পিএম

ঢাকামুখী মানুষের ঢল সামাল দিতে সীমিত সময়ের জন্য যাত্রীবাহী নৌযান চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে।

(৩১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন থেকে আগামীকাল রবিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করবে।

কলকারখানা খোলার কথা শুনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করার পরিপ্রেক্ষিতে হঠাৎই এ ঘোষণা এলো।

শিল্প-কারখানা খোলার খবরে ঢাকামুখী দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। প্রতিটি ফেরিতেই গাদাগাদি ও স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা করেই কর্মমুখী মানুষ ছুটছেন তাদের গন্তব্যে।

তাই লকডাউনের নবম দিনে শনিবার সকাল থেকেই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে রয়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ভোর থেকেই রাজধানীগামী যাত্রীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে নৌরুটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্বিমুখী চাপে পড়ে বাংলাবাজার ঘাট। তবে যে পরিমাণ মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে আসছে তার দ্বিগুন মানুষ ঘাট দিয়ে ঢাকামুখী হচ্ছেন।

বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে নৌরুটে ৪টি রোরো, ৪টি কেটাইপসহ মোট ১০টি ফেরি চলাচল করছে। গত দুইদিন বৈরী আবহাওয়া থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছিল নৌরুটে। ফলে পদ্মা পারাপারের জন্য অপেক্ষারত পন্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে নৌরুটে। এছাড়া সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঘাটে মানুষের চাপে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটসহ ছোটবড় অসংখ্য গাড়ি ফেরিতে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে।

পাবনার কাজিরহাট ফেরি ঘাটে নানা বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানানো সম্ভব হচ্ছে না।

শনিবার ছেড়ে যাওয়া তিনটি ফেরিতে তিল ধারণে ঠাঁই ছিল না। মানুষের ভিড়ে তিনটি ফেরিতে কোনো যানবাহন পার করা সম্ভব হয়নি।

দুপুরে কাজিরহাট ঘাটের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান জানান, দুপুর পর্যন্ত আরিচার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া তিনটি ফেরির প্রতিটিতেই তিন হাজারের বেশি মানুষ ছিল।

লকডাউন চলায় সড়ক পথে যানবাহন চলছে না। যে কারণে অল্প কিছু গাড়ি ঘাটে আটকা পড়েছে।

ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কমর্রত পাবনার মনির হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন ও কারখানা বন্ধের ঘোষণায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ঈদে বাড়িতে এসেছিলাম। হঠাৎ করে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছি। পরিবারের সদস্যদের রেখে নানা দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে একাই কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App