দীর্ঘ ৫৫ বছর পর রবিবার (১ আগস্ট) থেকে চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এতে বাংলাদেশ ও ভারত মধ্যে বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলবে বলে জানিয়েছেন দু দেশের রেল কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজ ভোরের কাগজকে বলেন, এ রুটটি আগেই দু দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হয়ে ছিল। রুটটি চালু হলে দু দেশের বাণিজ্য ও পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলে যাবে। করোনাকালে আপাতত মালবাহী ট্রেন চলবে।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে এ উপলক্ষে ভারতীয় রেলওয়ের দুটি ইঞ্জিন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত অতিক্রম করে পরীক্ষামূলক যাত্রা শেষ করে পুনরায় ফিরে যায়। এ সময় ভারতীয় রেলের একটি প্রতিনিধি দলও চিলাহাটিতে আসেন।

এ সময় ভারতীয় প্রতিনিধিরা জানান, ১ আগস্ট থেকে এই পথে দুইটি পণ্যবাহী ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। শুরুতে পণ্যবাহী ট্রেনে ভারত থেকে পাথর ও গম আসবে। এই পথে অক্সিজেনবাহী ট্রেনও চলাচল করতে পারে।

এ বিষয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী -২ ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম জানান, ১ আগস্ট  থেকে রুটটিতে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এর ফলে দুদেশের ব্যবসায়ীদের বিশেষ সু্বিধা হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর ফের হুইসেল বাজিয়ে ১ আগস্ট ৫৭টি ওয়াগন ভরে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসবে ভারতীয় ট্রেন। দুই দেশের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ রেলপথে আসা ট্রেনের গন্তব্য হবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম  পর্যন্ত। তবে ভারতীয় ইঞ্জিন চিলাহাটি পর্যন্ত এসে থেকে যাবে। চিলাহাটি থেকে বাংলাদেশের ইঞ্জিন ওয়াগনগুলো নিয়ে যাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। পণ্য খালাস শেষে ফের ওয়াগন নিয়ে ফিরে যাবে ভারতীয় ইঞ্জিন।

২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া চলতি বছরের ২৭ মার্চ দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন। যাত্রীবাহী ট্রেনটি উদ্বোধন করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনও চালু হয়নি। অনুকূল পরিবেশ এলেই দুই দেশের পতাকা উড়িয়ে চলাচল শুরু করবে মিতালী।