×

সারাদেশ

সিনহা হত্যার ১ বছর পেরোলেও এ মামলায় বাধ সেধেছে করোনা! 

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২১, ১২:৩১ এএম

মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকান্ডের প্রথম বাষির্কী আজ। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই প্রথমে পুলিশ সদস্য এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত বাদী হয়ে হত্যা ও মাদক পাচার মামলা করেন। পরে এ ঘটনার পাঁচ দিনপর চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের মোড় ঘুরে।

নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় বিভিন্ন সময়ে আটক হন ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত, এসআই নন্দ দুলালসহ ১৫ জন। ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই একটানা ৩ দিন বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।

কিন্তু করোনার কারণে লকডাউনে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। তবে পরবর্তী দিন ধার্য করে এটি সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

রাষ্ট্র পক্ষের এ আইনজীবী জানান, গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল সকল আসামির উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে আদেশ দিয়েছিলেন।

কিন্তু করোনা মহামারি বেড়ে যাওয়ায় সরকার লক ডাউন ঘোষণা করেন। এতে আদালতের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তাই নয় বর্তমানে (পিপি) তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় ও মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে।

মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব-১৫। হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে, ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।

মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলেন, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী পুলিশ কনস্টেবল রুবেল শর্মা, শামলাপুর ফাঁড়ি এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App