×

সারাদেশ

গাইবান্ধার সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে লিকুইড অক্সিজেন সংযোজিত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২১, ০৪:৩৩ পিএম

গাইবান্ধার সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে লিকুইড অক্সিজেন সংযোজিত

গাইবান্ধা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

করোনা পরিস্থিতির সংকট নিরসনে গতকাল জরুরী অক্সিজেন ব্যবস্থার উন্নয়নে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে লিকুইড অক্সিজেন সংযোজিত করা হয়েছে। এতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সমস্যার বিরাজমান সংকট নিরসন হবে এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধায় করোনা পরিস্থিতির অবনতির পর থেকেই গাইবান্ধা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। এই প্লান্ট থেকে ১৯৪টি শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

এক্সপেকট্রা নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণ ও স্থাপনের কাজ করে। গাইবান্ধা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মো. এরশাদুল হক বলেন, চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম দিকে এটি জেনারেল হাসপাতালের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০০ শয্যার এই হাসপাতাল চত্বরে অক্সিজেন প্লান্টের পাশে নির্মিত হয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এই মূল প্লান্ট থেকে হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ লাইন নিয়ে যাওয়া হয়। নিচতলা ও দোতলার পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ১৯৪টি শয্যার পাশের দেয়ালে অক্সিজেন সংযোগ দেওয়া হয়।

গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হারুন-অর রশিদ বলেন, বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ২০টি বেড রাখা রয়েছে।

এদিকে অক্সিজেন ইউনিট চালু হওয়ার পর করোনা রোগীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অক্সিজেনের যে সংকট সৃষ্টি হচ্ছিল সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে লিকুইড অক্সিজেন সংযোজিত করার ফলে সে সংকট নিরসন হয়েছে।

ফলে করোনা রোগী ছাড়াও পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ১৯৪টি শয্যায় শ্বাস কষ্ট, হাপানিসহ অক্সিজেন সংক্রান্ত জটিলতায় ভোগা রোগীরা দ্রুত চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App