×

জাতীয়

ঢাকায় থাকা শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা খোলার প্রস্তাব বিজিএমইএর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২১, ০২:১৪ পিএম

পোশাকসহ সব ধরনের কারখানা খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। একই সঙ্গে, দেশের অর্থনীতির বিষয় বিবেচনা করে তাদের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী সাড়া দেবেন মনে করছেন।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা করে শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সহ সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম এবং খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান ও প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, ডিসিসিআই সভাপতি রেজওয়ান রহমান প্রমুখ।

বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। লকডাউন থেকে যেন সব ধরনের শিল্পকে কাজ করতে সুযোগ দেয়া হয়। এটাই আমরা তার কাছে অনুরোধ করতে আসছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্যাবিনেট সচিবের মাধ্যমে এ অনুরোধ আমরা করেছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ^াস দিয়েছেন। ফারুক হাসান বলেন, করোনা পরিস্থিতি, সংক্রমণ, মৃত্যু সবকিছু মাথায় নিয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকার এটা বিবেচনা করবে বলে আমরা আশা করি।

ব্যবসায়ীদের সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে ফারুক হাসান বলেন, আমাদের এক্সপোর্ট যেটা আছে, তার সঙ্গে সঙ্গে লোকালেও সাপ্লাই আছে এবং পোর্টেও অনেক ইমপোর্টেড মাল আসে। জাহাজগুলো আনলোড করা, মালগুলো পোর্টে রাখার জায়গা থাকছে না। সে কারণে ফ্যাক্টরি, শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো না খুলে পোর্ট থেকে কনটেইনারে মাল রিলিজ না করলে সবকিছুতে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সবকিছু বিচার-বিবেচনা করে সব ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার অনুরোধ করেছি। গার্মেন্টস শ্রমিকদের করোনা প্রতিরোধী টিকা দিয়ে দ্রুত কাজের সুযোগ দিতে সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এই অনুরোধটাও করেছি।

ঈগের আগে ১৮ ও ১৯ জুলাই ৩০ হাজারের মতো কর্মীকে টিকা দেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন ফারুক হাসান। বলেন, শ্রমিকরা যখন ফ্যাক্টরিতে থাকে তখন তারা টিকা দিতে নিরাপদ ফিল করে। আর যখন তারা গ্রামে থাকে তখন তারা দিতে চায় না।

এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, শিল্পকারখানা বন্ধ থাকলে কি সমস্যা হতে পারে এ বিষয়ে আমরা বুঝিয়েছি। তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনটা ভেঙে যাচ্ছে। পোর্টে জটের কথা আপনারা সবাই জানেন। আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর আশঙ্কা আছে আমাদের। লাস্ট, আমাদের লোকাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোতেও সাপ্লাই চেইনে প্রবলেম হচ্ছে। খাদ্য, চামড়া, ওষুধশিল্পকে খুলে দেয়া হলেও সেখানে সাপ্লাই চেইনের সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানালেন এফবিসিসিআই সভাপতি। বলেন, ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে র‌্যাপিংয়ের দরকার। কার্টনের দরকার। এমন অবস্থায় ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ রাখা যায় না। জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জীবন-জীবিকাকে সামনে রেখে এগিয়ে গেছেন বলেই আমাদের পজিটিভ গ্রোথ ছিল। এতকিছুর পরও ৫ শতাংশের ওপরে গ্রোথ ছিল। আমরা মনে করি ইন্ডাস্ট্রিগুলো খুলে দেয়া দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা পরিচালনার বিষয়ে সরকারের কাছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে বলে জানান এফবিসিসিআই প্রধান।

এর আগে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনাবিষয়ক এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, ‘আমাদের যে লকডাউন চলছে এটা চলতেই থাকবে। আমাদের যে টার্গেট ৫ আগস্ট পর্যন্ত সেই ৫ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন চলবে। যদিও আমাদের শিল্পপতিরা এবং অনেকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, আমরা সেই রিকোয়েস্ট বোধহয় গ্রহণ করতে পারছি না।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App