×

পুরনো খবর

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২১, ০৯:০০ পিএম

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো মিউকরমাইকোসিসে বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক নারী (৬০)। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর তিনি বিরল এ ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নমুনা পরীক্ষা শেষে প্রাপ্ত ফলাফলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ওই রোগী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল ভোরের কাগজকে বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা এক নারী মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। যদিও সাধারণ মানুষ রোগটিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে চেনেন। ছত্রাকজনিত রোগটি বিরল। চট্টগ্রামে ওই নারীই প্রথমবারের মতো আক্রান্ত হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। একটি মেডিকেল টিম তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।’ তিনি বলেন, এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাধারণত যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম তাদের এটি হতে পারে। এটি করোনার মতো ছোঁয়াছে নয়। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে মানুষকে।

রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, গত ২৫ জুন ফেরদৌস বেগম নামে ষাটোর্ধ্ব এক নারী জ্বরে আক্রান্ত হন। গত ৩ জুলাই তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ১৫ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় কোভিড নেগেটিভ আসে। কিন্তু এরপর বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে গত ২৫ জুলাই ওই বৃদ্ধাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করেন চিকিৎসকেরা। বর্তমানে তাকে মেডিসিন বিভাগের অধীনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই নারীর স্বামী ছয়দিন আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এর আগে গণমাধ্যমে গত ২৪ মে এক রোগীর দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপস্থিতির খবর পাওয়ায়। ওই রোগী রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

প্রসঙ্গত করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছিল কালো ছত্রাক বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হিসেবে পরিচিত ‘মিউকরমাইকোসিস’। এই ছত্রাক সাইনাস, মস্তিষ্ক ও ফুসফুসে আক্রমণ করে। ডায়াবেটিস, এইডস বা ক্যান্সারে যারা আক্রান্ত, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দারুণভাবে দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে এ সংক্রমণ প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এতে আক্রান্তদের মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের একপাশ ফুলে যওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া বা চোখে ব্যথা করা, চোখের পাপড়ি ঝরে পড়া, ঝাপসা দেখা এবং এক সময় দৃষ্টি হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে নাকের পাশপাশে চামড়ায় কালচে দাগ দেখা দিতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App