×

সারাদেশ

শিক্ষক হেলেন হত্যার আসামি পিবি আইয়ের জালে আটক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২১, ০৩:৩৫ পিএম

শিক্ষক হেলেন হত্যার আসামি পিবি আইয়ের জালে আটক

মঙ্গলবার নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার রামগাড়ি গ্রামের শিক্ষক হেলেন হত্যার আসামি হামজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছবি: ভোরের কাগজ

দুই বছর পালিয়ে থাকার পর অবশেষে পিবি আইয়ের জালে আটক হলো শিক্ষক লতিফা হেলেন মঞ্জুর খুনি হামজা। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই শিক্ষক লতিফা জাহান হেলেন (মঞ্জু) কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে ভোরের কাগজে প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পরই ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করেন পিবি আইয়ের ইন্সপেক্টর নাছির হোসেন। মামালার বাদী নিহতের মা মোনোয়ারা বেগম (৬০)।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বাগাতিপাড়া উপজেলার রামগাড়ি গ্রামের আসামি হামজার ভগ্নিপতি রফিকের বাসা থেকে ভোর ৫টার দিকে তাকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। হেলেন হত্যার পর দুই বছর যাবত পালিয়েছিল আসামি হামজা ও আহসান। প্রধান আসামি মমিনুল ইসলাম মমিন উচ্চ আদালতে জামিন নিয়ে এখন নিজ বাসাতেই অবস্থান করছেন।

স্থানীয়রা জানান, হামজা দেশের নানা প্রান্ত ঘুরে অবশেষে গকুল নগর তার শ্বশুর বাড়ির লেবুর বাগানের মধ্যে খুপরি ঘর তৈরি করে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু ঈদের পর তার ভগ্নিপতির বাসায় দাওয়াত খেতে এসে পিবি আইয়ের জালে আটক হন।

প্রতিবেশিরা জানান, একই গ্রামের ডা. মো. মনছের আলীর ছেলে মমিনের (৪৫) সঙ্গে ২৫ বছর আগে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় ওই শিক্ষিকা মঞ্জুয়ারা হেলেনের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের দুই বছরের মাথায় নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর বহু কষ্টে লেখাপড়া শেষ করে ৪ জানুয়ারি ২০১০ সালে বৃ-কাশো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। তার একমাত্র মেয়ে নবম শ্রেণিতে স্থানীয় এক মাদ্রাসায় লেখাপড়া কালিন তার বাবার কাছেই থাকতো। আর শিক্ষিকা মুঞ্জুয়ারা তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে নিজ বাড়িতেই বসবাস করতেন।

নিহত লতিফা হেলেন মঞ্জুর একমাত্র কন্যা বর্তমানে কলেজ শিক্ষার্থী মিতু জানায়, আমার মা যখন খুন হন। তখন আমি বাবার কাছেই থাকতাম। ঘটনার রাতে বাবা বাসায় ফিরে প্রথমে রক্তমাখা শরীরটা পরিস্কার করে পশুর জন্য রান্না করা খাবার খেতে থাকে। তার অস্বাভাবিক আচরণ দেখে জিজ্ঞাসা করি বাবা তোমার কি হয়েছে। বলে কই কিছু হয়নি তো। তাহলে তোমার গায়ে রক্ত কেন আর তুমি গরুর রান্না খাবার খাচ্ছ কেন। কথা গুলো বলতেই নানি এসে চিৎকার দিয়ে বলে মিতু তোর বাবা তোর মাকে মেরে পালিয়েছে। তখন বাবা নামের ওই পশুটা রুমের মধ্যে গিয়ে পালায়। আমি গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই আমার পা জড়িয়ে ধরে বলে আমাকে বাঁচা মা। তখনই আমি আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে নানির কাছে চলে আসি। তখন থেকেই নানীর সঙ্গে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছি।

নাটোরের পিবি আই ইন্সপেক্টর নাছির হোসেন জানান, থানা থেকে এক বছর পর পিবিআইতে মামলাটি স্থানান্তর হবার পর মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোর ৫টায় আসামি হামজাকে তার ভগ্নিপতির বাসা থেকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App