×

সারাদেশ

রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় একমাসে ৪৯২ জনের মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২১, ১০:১৮ এএম

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক মাসে মারা গেছে ৪৯২ জন। এরমধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে করোনা উপসর্গে। আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৮ জন। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মারা যান এ ১৮ জন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে করোনা পজেটিভ ছিলেন মাত্র ৬ জন। আর বাকি ১২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে উপসর্গে। এদিন সর্বোচ্চ মারা যান পাবনা জেলার ৭ জন। এটিই প্রথম রাজশাহীকে ছাড়িয়ে ওই জেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর মৃত্যু। এছাড়া রাজশাহীর ৬ জন, নাটোরের তিনজন মারা গেছেন। আর কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার মারা গেছেন একজন করে দুইজন। মৃতদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং ৪ জন মহিলা।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন। রামেকের করোনা ইউনিটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৪০৩। এদের মধ্যে ১৮৩ জন করোনা পজেটিভ রোগী। হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৫১৩টি বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসের ২৮ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ৪৯২ জনের মধ্যে করোনা পজেটিভ ছিলেন ১৬৮ জন। আর ৩০০ জনই মারা গেছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে। এছাড়া করোনা নেগেটিভ থেকেও মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এ মাসের গত ১৪ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ২৫ জন মারা যান। আর সর্বনিম্ন ১১ জনের মৃত্যু হয় ২৪ জুলাই। পবিত্র ঈদুল আজহার দিনেও মারা যান ২২ জন।

ভোরের কাগজের হাতে আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, জুলাই মাসে করোনা উপসর্গ নিয়েই রেকর্ড সংখ্যক মৃতের মধ্যে গত ৭ জুলাই মারা যান সর্বোচ্চ ১৭ জন। ওইদিন মোট মৃত্যু হয় ২০ জনের। এ মাসের প্রথম দিন মৃত ২২ জনের ১৬ জনই ভর্তি ছিলেন উপসর্গ নিয়ে। ওইদিন মাত্র ৫ জন করোনা পজেটিভ অবস্থায় মারা যান। এছাড়া সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যুর দিনও করোনা উপসর্গে প্রাণ গেছে ১৪ জনের। তাছাড়াও গত ৯ জুলাই এবং ঈদের দিন ও পরদিন ১৫ জন করে মারা যান শুধু উপসর্গ নিয়েই। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর বাসিন্দা ২৩০ জন।

তথ্যমতে, করোনা ইউনিটে গত ৪ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ৭৭ জন ভর্তি হন এবং সর্বনিম্ন ৩১ জন রোগী আসেন ২২ জুলাই ঈদুল আজহার দিন। সেদিনই সর্বনিম্ন ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। আর ১৩ ও ১৮ জুলাই সর্বোচ্চ ৭৬ জন করে ছাড় পান হাসপাতাল থেকে।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী জানান, করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে স্বাভাবিক অবস্থার ফিরতে জনসচেতনতা জরুরী। সুস্থতার জন্য ঘরেই থাকতে হবে মানুষকে। তবে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে বিলম্ব না করে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া দরকার। এতে বাঁচার সম্ভাবনা থাকে। কিন্ত অসুস্থ রোগীরা অনেক দেরীতে হাসপাতালে আসায় অনেকেই মারা যাচ্ছেন উপসর্গ নিয়ে। যদিও রোগীদের সুস্থতায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App