বিনিয়োগকারীদের নতুন এক বাংলাদেশ দেখার আমন্ত্রণ অর্থনীতির নীতিনির্ধারকদের
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২১, ১১:২৩ পিএম
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিএসইসির বিনিয়োগ সম্মেলনে অতিথিরা। ছবি: ভোরের কাগজ
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এক নতুন বাংলাদেশ দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বাংলাদেশের অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা। বাংলাদেশ সম্পর্কে অতীতে যা ধারণা ছিল, সেখান থেকে পাল্টে এই দেশটি এখন বিনিয়োগের অন্যতম একটি ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। অবকাঠামোগত সুবিধা, বিদ্যুতের উৎপাদন, সহজলভ্য শ্রমশক্তি এবং জ্বালানির প্রাপ্যতা দিক থেকে বাংলাদেশ পাল্টে গেছে। এই নতুন পরিবর্তিত বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুবিধা নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বুধবার (২৮ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের বিনিয়োগের উপরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
রিচ কারলটন হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি।
আরিফ খান, ভাইস চেয়ারম্যান, শান্তা প্রপার্টিস মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধা ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম।
"দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়াল অফ ট্রেড এনড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ" শীর্ষক এই বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশের বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি জুয়েল যা এখনো বিশ্বের কাছে অনুদ্ঘাটিত। ভারত এবং চীনের মাঝখানে অবস্থিত হওয়াই বাংলাদেশকে অনেকে "চিনডিয়া" বলে থাকে। এই ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগের সুবিধা পেতে পারে। বৃহৎ একটি তরুণ জনগোষ্ঠীর রয়েছে বাংলাদেশের, যেটা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অনলাইন শ্রম শক্তি সরবরাহকারী এখন বাংলাদেশ। বিদেশি বিনিয়োগ থেকে লাভ সহজে নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা রয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ এখন আর ঋণগ্রহীতা দেশ নয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন বাজেটের ৯৮ শতাংশই এখন বাংলাদেশি অর্থ নির্ভর। নানারকম নীতি সহযোগিতা দিয়ে সরকারি খাত বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের জন্য পথ উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। যে কারণে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের একটা সহজ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।