রোগী হয়ে হাসপাতাল থেকে নয়, ডেঙ্গু মশার লার্ভা পর্যায়ে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে তথ্য দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে সংলগ্ন দক্ষিণ সিটির ৫৮ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা ম্যাচ কলোনি এলাকার জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি আবুল হাশেম এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা তো মানুষের ছাদে উঠতে পারিনা। কোনো বাড়ির ছাদে যদি পানি জমে থাকে। আপনি যদি নিজে পরিস্কার না করতে পারেন আমাদেরকে জানান। আমরা এসে পরিষ্কার করে দেবো। যদি কোনো প্রতিবেশীর আঙিনায় পানি জমে থাকে, তাকে দিয়ে পরিষ্কার না করাতে পারলে আমাদেরকে জানান। আমরা কাউন্সিলর ও ভ্রাম্যমান আদালতনহ উপস্থিত হব। আমরা পরিস্কার করে দেবো।

শুধু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। কারণ এত বিস্তীর্ণ এলাকা, এত বড় এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে এটা সম্ভব না। তাই আমাদেরকে রোগী হওয়ার আগেই তথ্য দিন। রোগী হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে লাভ হয় না। কারণ তখন কিন্তু মশার প্রজনন হয়ে গেছে। প্রজননের আগে লার্ভা পর্যায়ে তথ্য দিন।

শেখ তাপস বলেন, এডিস মশা বাড়ির আঙিনায়, বাসাবাড়িতে হয়, ফুলের টবে হয়, ছোট বড় যে কোন পাত্রে হয়। অর্থাৎ যেখানেই বৃষ্টির পানি এসে জমে বা পানি জমা হওয়ার সুযোগ থাকে সেখানেই এডিস মশার প্রজনন হয়ে থাকে। আপনাদের মেয়র হিসেবে, সেবক হিসেবে-আমি ঢাকাবাসীর প্রতি এটুকু নিবেদন করব, আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকার যে প্রতিকূল অবস্থা তার মধ্যে পূর্ণশক্তি আমরা প্রয়োগ করে রেখেছি। আমাদের কীটনাশক আছে, জনবল আছে, যন্ত্রপাতি আছে, সদিচ্ছা আছে, আন্তরিকতা আছে, নিষ্ঠা আছে। সবমিলিয়ে কাজ করে চলেছি।

পরে মেয়র ডিএসসিসির ৫৯, ৫৮ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন আরো বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করে বলেন, পুরান ঢাকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবায় এই হাসপাতালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা এই হাসপাতালের আধুনিকায়ন করব।