×

জাতীয়

বাড়ির গৃহকর্মী থেকে সবাইকে টিকা দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২১, ১২:২৫ পিএম

বাড়ির গৃহকর্মী থেকে সবাইকে টিকা দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে আমরা মুক্তি পাবো। ব্যাপকভাবে টিকা দিতে হবে, যাতে সবাই সুরক্ষিত থাকে। শুধু পরিবারই নয়, বাড়ির গৃহকর্মী থেকে সবাইকে যেন টিকা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) জনপ্রশাসন পদক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত টিকা দরকার আমরা কিনবো। ভবিষ্যতে আমরা দেশেই টিকা তৈরি করবো, যাতে বাংলাদেশের মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়। দেশে ১ কোটি ৮৭ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা থেকে কেউ বাদ যাবে না। ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাই কে এই টিকা দেওয়া হবে। সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। তবে মানুষকে সচেতন করতে হবে।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করোনায় আমরা যে কাজ করছি তাতে আপনাদের অবদান আছে। আপনারা চমৎকার কাজ করেছেন। যা দেশ ও মানুষের কল্যাণে এসেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জয়ের কাছ থেকে আমি কম্পিউটার শিখি। ডিজিটাল বাংলাদেশের চিন্তা জয়েরই। আমরা ধাপে ধাপে যে কাজ করেছি তার পরিকল্পনা জয়ের ছিল। আজকে যে আমরা বাংলাদেশ ডিজিটাল করেছি, তরুণ যুবকদের আজ যে উন্নতি হয়েছে তা জয়ের কারণেই। এ শিক্ষার জন্য আজ করোনাতেও আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারছি।

২৭ জুলাই বিশেষ দিন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ। তখন আমি সন্তান সম্ভবা। আমি বাবার (বঙ্গবন্ধু) হাত ও পায়ের নখ কেটে দিতাম। বাবা বললেন ভালোভাবে কেটে দে, আর এই সুযোগ পাবি কিনা-জানিনা। তবে তোর ছেলে হবে। সেই ছেলে স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম নেবে। তার নাম জয় রাখবি। ২৫ মার্চ পাকিস্তানীরা বাবাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর আমার মা, ছোট ভাই রাসেল, জামাল, রেহানা ও আমি গ্রেপ্তার হই। ১৮ নং রোডের একটা পরিতক্ত একতলা বাসায় আমাদেরকে রাখা হয়। সন্তান জন্ম নেয়ার সময় পাকিস্তানিরা আমাকে শুধু হাসপাতালে যেতে দিয়েছিল। মাকে যেতে দেয়নি। জয়ের জন্ম মেডিকেল কলেজই হয়। বন্দি অবস্থায় জয়ের জন্ম। আবার কারাগারে ফিরে আসি। পাকিস্তানের একজন কর্নেল জিজ্ঞেস করে শিশুর নাম কি। আমি বলেছি জয়। একথা শুনে তিনি রেগে গেলেন। শিশুটাকেও তারা গালি দেয়।

তিনি বলেন, মানুষকে সহায়তা ও নিরাপত্তা দেওয়া সব কিছু ডিজিটালভাবেই করছি। আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি বলে বেশি কিছু হয়ে যাইনি। এটা আমার দায়িত্ব। আপনারা সবাই আপনাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করবেন। ডিজিটালের শুভ ফল মানুষ পেয়েছে বলেই দেশের উন্নতি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিভাবে মানুষের সেবা করা যায় সে দিকে দৃষ্টি রাখবেন। যারা দেশের অকল্যাণে খারাপ কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধেও আমি ব্যবস্থা নিবো। সবাই যেন কাজে মন দিয়ে কাজ করতে পারেন, সে জন্য সবার বেতনও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App