×

সাহিত্য

মেশিনগানের মুখেও নীতির বিচ্যুতি ঘটবে না (২য় পর্ব)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২১, ০৮:৩৫ এএম

পরাধীন ব্রিটিশ-ভারত থেকে পাকিস্তানের কালো অধ্যায় পেরিয়ে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের। এই মহান অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের মোড় ঘোরানো নানা ঘটনা, যার কারিগর হিসেবে কেউ আখ্যায়িত হয়েছেন নায়কের অভিধায়; কেউবা আবিভর্‚ত হয়েছেন খলনায়কের চরিত্রে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেসব ঘটনা ও তার নায়ক-খলনায়কদের কার কি ভ‚মিকা, তাই নিয়েই অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গ্রন্থ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’। সম্প্রতি ভোরের কাগজ প্রকাশন থেকে বের হয়েছে বইটি। এ বই থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে ভোরের কাগজের পাঠকদের জন্য।

ইয়াহিয়া খান বাস্তবতা থেকে দূরে ছিলেন! মুজিবকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আনা সম্ভব ছিল না। তার সঙ্গে ছিল ছয় কোটি বাঙালি এবং তার হাতে জিম্মি ছিল অর্ধ লক্ষ ‘শালা পাঞ্জাবি’। মুজিব হয়তো রাজি হতেন কিন্তু তার সাথীরা ছিল চরমপন্থি। তারা তাকে ইসলামাবাদে না যাওয়ার জন্য রাজি করান।

পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ইয়াহিয়া খান তার সহকারিদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ভবনে গভর্নর এবং সামরিক আইন প্রশাসকদের সভা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন চিফ অব জেনারেলের স্টাফ মেজর জেনারেল গুল হাসান খান; আইএসআই’র ডিজি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আকবর; ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মে. জে. গোলাম ওমর; ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর পরিচালক নাসির রিজভী; পুলিশের আইজি আগা এবং প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জে. এস জি এম এম পীরজাদা। ঢাকা থেকে এসে সভায় যোগ দেন গভর্নর ভাইস এডমিরাল এসএম এহসান; কমান্ডার ইস্টার্ন কমান্ড লে. জে. সাহেবজাদা ইয়াকুব খান এবং ডেপুটি মার্শাল ল এডমিনিস্ট্রেটর মে. জে. রাও ফরমান আলী খান। সভা শুরু হয় যথারীতি এক রাউন্ড মদ দিয়ে। তারপর চলে আলাপ-আলোচনা। এ আলোচনায় সামরিক অভিযানের কথা ওঠে। প্রেসিডেন্ট হাউসের ড্রইংরুমে সেদিন পাকিস্তানের ভেতর থেকে একটি নতুন স্বাধীন দেশের ভিত স্থাপিত হয়।

প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘ন্যাশনাল এসেম্বলি স্থগিত করব। পূর্ব পাকিস্তানি নেতারা সহযোগিতা করছে না। আমি সবকিছু উল্টিয়ে আবার সামরিক শাসন জারি করব, তবে শুধু পূর্ব পাকিস্তানে। মুজিবের ওপর আমি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসরের সঙ্গে সঙ্গে আমরা সামরিক আইন শিথিল করেছিলাম। কিন্তু এখন আমি সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে ফেলব। মুজিবের মাথায় বুদ্ধি ঢোকাতে হবে। এসেম্বলির অধিবেশন বসবে আওয়ামী লীগের ধ্বংসের পর। আমাদের আবার চলতে হবে, কিন্তু এবার শক্তি প্রয়োগ করে চলতে হবে।’

সাহেবজাদা ইয়াকুব বললেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর বাঙালিদের মধ্যে বড্ড বেশি আশা জেগেছে যে সামরিক শাসন থেকে নবনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করবে, বাঙালিদের আকাক্সক্ষা বদলে গেছে। তারা ক্ষমতাপ্রাপ্তি ও প্রয়োগে ইচ্ছুক হয়ে উঠেছে। সেটা তাদের দেয়া না হলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও তিক্ততা জন্ম নেবে।’ সীমান্তের ওপারের প্রতিক্রিয়ার কথা বলতে গিয়ে জেনারেল সাহেবজাদা বলেন, ‘ভারত এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতির সুযোগ নেবে। ভারতীয় আগ্রাসন এ পরিস্থিতিতে মারাত্মক হবে। কারণ, এমনিতেই ইস্টার্ন কমান্ড অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবিলায় ব্যস্ত ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা হয়তো কিছুদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। কিন্তু দীর্ঘদিনের জন্য নয়।’

অধিবেশন স্থগিতাদেশের ঘোষণা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দেখা যায়। সারা পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে বয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা। দুপুর ১:০৫ টায় যখন রেডিওতে ঘোষণা করা হলো, তখন শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ কামাল পাকিস্তান এবং ইন্টারন্যাশনাল ইলেভেনের ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন। কাছেই বসা আহমেদ সালাউদ্দিন দেখলেন যে, এ ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তরুণ যুবকরাসহ শেখ কামাল এবং তার বাঙালি বন্ধুরা উঠে শামিয়ানা ছিঁড়ে ফেলে এবং আগুন ধরিয়ে দিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে দর্শকদের সারি খালি হয়ে যায়। সবাই উঠে চলে যায়। অখণ্ড পাকিস্তানের ভাঙন শুরু।

১ মার্চ। প্রেসিডেন্ট ভাষণ দেবেন। কিন্তু হঠাৎ করে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার নাম করে অন্য এক অচেনা কণ্ঠস্বর ভেসে এলো বেতারে। উৎকণ্ঠিত সবাই। প্রেসিডেন্ট ভাষণে বলেন, ‘পাকিস্তান আজ চরমতম রাজনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। তাই বর্তমান পরিস্থিতি এবং আমাদের বর্তমান বাধাবিপত্তি দূর করার জন্য আমি যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাই সে সম্পর্কে আপনাদের অবহিত করার প্রয়োজন বোধ করছি।’ ভাষণের শেষের দিকে তিনি বলেন, ‘সংক্ষেপে বলতে গেলে পরিস্থিতি এই দাঁড়িয়েছে যে, পশ্চিম পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল অর্থাৎ পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দল ১৯৭১ সনের ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া ভারত কর্তৃক সৃষ্ট অসাধারণ উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সার্বিক অবস্থাকে আরো জটিল করে তুলেছে। অতএব আমি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান পরবর্তী কোনো তারিখের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ঐদিন হোটেল পূর্বাণীতে জাতীয় পরিষদ সদস্যদের সভা চলছিল। ঐ সভায় আমি লক্ষ্য করেছি বঙ্গবন্ধু এলেন একটু দেরিতে। তিনি গম্ভীর। কিন্তু মুখমণ্ডল ছিল দৃঢ়। তিনি অধিবেশনে সংবিধান সম্পর্কে কথা তুললেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি সংবিধানে খসড়া রচনার জন্য তিনি একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। কমিটির মূল বিষয়গুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের খসড়া সংবিধানে ছিল-১. পূর্ব পাকিস্তানের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ রাখা হবে। ২. পার্লামেন্টের অধিবেশন শীতকালে ঢাকায় এবং গ্রীষ্মকালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে। ৩. নৌবাহিনীর সদর দপ্তর বাংলাদেশে থাকবে। ৪. পররাষ্ট্র প্রতিরক্ষা মুদ্রা হবে কেন্দ্রীয় বিষয়। ৫. দুটি রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে। ৬. বৈদেশিক ঋণ আনুপাতিক ব্যবহারের ভিত্তিতে পরিশোধিত হবে। ৭. কর আরোপের কোনো ক্ষমতা কেন্দ্রের থাকবে না। এখানে উল্লেখ্য যে, সেসময় পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৪০ বিলিয়ন রুপি। এর মধ্যে ৩৮ বিলিয়ন ব্যয় হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানে যার দায়িত্ব বাঙালিরা নেবে না।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘গত ৩ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত রেসকোর্সের জনসভায় সংসদ সদস্যরা যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন নতুন করে এখন সেই শপথ পুনর্বার নিয়েছেন।’ প্রদেশের অবাঙালিদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তারা এদেশেরই সন্তান, এদেশের সংগ্রামে তারা অবশ্যই যোগ দেবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট একটি সংখ্যালঘিষ্ঠ দলের কথায় জাতীয় পরিষদ স্থগিত করা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরো বলেন, ‘৭ কোটি বাঙালিকে শোষণ করা এবং বাংলাদেশকে উপনিবেশ হিসেবে ব্যবহার করতে আর দেয়া হবে না। বাংলাদেশের জনগণ আজ আর এ ধরনের হুকুমদারি মানতে রাজি নয়। এখন তাদের শক্তির সাহায্যে মোকাবিলা করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, যে বিমানে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে জনপ্রতিনিধিদের আসার কথা ছিল, সেই বিমানে আনা হচ্ছে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র। সাত কোটি বাঙালিকে ভীত করাই যদি এ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে এ ধরনের কার্যকালাপ বন্ধের জন্য যে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভের সংকল্প প্রদর্শিত হচ্ছে, তা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করে দেবে যে বাঙালিদের আর দমিয়ে রাখা যাবে না এবং তারা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হতে সংকল্পবদ্ধ। তারা উপনিবেশ বা বাজারের মতো শোষণ আর সহ্য করবে না।

এই সংকটকালে গণবিরোধী চক্রের সঙ্গে সহযোগিতা না করা এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা, সরকারি কর্মচারীসহ সব স্তরের প্রতিটি বাঙালির পবিত্র দায়িত্ব। জনসাধারণ তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেছে। এই প্রতিনিধিরাই এখন ক্ষমতার একমাত্র বৈধ উৎস, সব কর্তৃপক্ষের এটা মনে রাখা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘অতএব আমি অবিলম্বে সামরিক শাসন প্রত্যাহার, অবিলম্বে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি বিক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা যদি গণতন্ত্রের পথে না আসে, আপনারা একটা নতুন ইতিহাস দেখবেন। প্রত্যেক বাঙালির দায়িত্ব হচ্ছে, যারা ক্ষমতা হস্তান্তরের বিপক্ষে, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা না করা।’ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘সব শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’ কেন্দ্রে সরকার গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে জনগণ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়ে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয়। বলা হয়, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ অস্ত্রের দোকান থেকে অস্ত্র নেয়া হয়।

পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেনা বাহিনীকে আহ্বান করে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ১৭২ জন নিহত এবং ৩৫৮ জন আহত হয়। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘অবিলম্বে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে না হলে এর পরিণতির জন্য সামরিক সরকার দায়ী থাকবে।’

মার্চের ১ ও ২ তারিখের গোয়েন্দা রিপোর্টে পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। স্লোগান দেয়া হয়, ‘আজ থেকে বাংলা মুক্ত, অস্ত্র ধর-বাংলাদেশ স্বাধীন কর, পশ্চিম পাকিস্তানিদের হটাও, ক্যান্টনমেন্ট দখল কর।’ এ ঘোষণার ফলে বামপন্থি দলগুলো আওয়ামী লীগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্ভবত মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণা করবেন। মার্কিন দূত মুজিবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। রাষ্ট্রপতির ঘোষণা সম্বন্ধে মুজিব সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি স্থগিতাদেশকে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি ঘোষণা দেন ৭ মার্চ সম্ভবত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পেশ করবেন।

১ ও ২ মার্চ কোনো কোনো স্থানে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ঘটে। তবে আরো বেশি সহিংসতা হবে বলেই আশঙ্কা করা হয়। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর এডমিরাল আহসানকে ঐ দিনই তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক সাহেবজাদা ইয়াকুবকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। তিনি অনতিবিলম্বে সংবাদপত্রের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেন যদিও তা আদৌ তেমন প্রতিপালিত হয়নি। মনে করা হয়ে থাকে যে, এডমিরাল আহসান মুজিবের সঙ্গে সংঘাতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ইয়াহিয়াকে, কেননা তা পাকিস্তানের জন্য বিপর্যয়কর হবে। আগামীকাল প্রকাশিত হবে ‘নেপথ্যে সশস্ত্রকরণ পরিকল্পনা’ ‘যেভাবে স্বাধীনতা পেলাম’- বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভোরের কাগজ প্রকাশনে (ভোরের কাগজ কার্যালয়, ৭০ শহীদ সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা)। এ ছাড়া সংগ্রহ করা যাবে bhorerkagojprokashan.com থেকেও।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App