×

জাতীয়

বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২১, ১০:২২ পিএম

বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিরোধযোগ্য অথচ অন্ধত্বের শিকার বিশ্বের এমন ১১০ কোটি মানুষকে ২০৩০ সালের মধ্যে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ করে দেবে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে এমন অঙ্গীকার নিয়েই গৃহীত হলো 'সবার জন্য দৃষ্টি: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ ত্বরান্বিত করার পদক্ষেপ' শীর্ষক দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক প্রথম রেজুলেশন।

'ফ্রেন্ডস অব ভিশন' এর পক্ষে শুক্রবার রেজুলেশনটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

রেজুলেশনটিকে অনন্য একটি রেজুলেশন হিসেবে উপস্থিত সবাই আখ্যা দিয়েছেন। কারণ জাতিসংঘ প্রথমবারের মতো সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নিরাময়ে সর্বসম্মতভাবে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হলো।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার শিকার বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ের ২ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে ব্যাপক ভিত্তিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে জাতিসংঘে অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটির দৃষ্টি বা ভিশন বিষয়ক এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস।

রেজুলেশনটি উত্থাপনের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে যোগ দেয় গ্রুপটির অপর দুই সহ-সভাপতি ‘এন্টিগুয়া ও বারবাডোস’ এবং আয়ারল্যান্ড। এতে সর্বমোট ১১৫টি দেশ পৃষ্ঠপোষকতা করে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা সাধারণ পরিষদে প্রদত্ত বক্তব্যে রেজুলেশনটিকে বিশ্বের সব দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য উৎসর্গ করেন এবং সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান যাতে দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের সব জনগণকে চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় পূর্ণ প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা যায়।

রেজুলেশনটিতে সুদৃঢ় কিছু ম্যান্ডেট/বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং তা কোটি কোটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের কাছে শক্তিশালী আশার বার্তা পৌঁছাতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরো বলেন, আজকের এই রেজুলেশনটি চক্ষু সেবার বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। রেজুলেশনটিতে নেতৃত্ব দিতে পেরে বাংলাদেশ সম্মানিতবোধ করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App