×

জাতীয়

চড়া সবজির দাম, দেড়শ টাকায় মিলছে না টমেটো ও গাজর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২১, ১২:২৭ পিএম

চড়া সবজির দাম, দেড়শ টাকায় মিলছে না টমেটো ও গাজর

ঈদ পরবর্তী লকডাউন শুরুর দিনে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ সবজির দোকান। সবজি বিক্রেতা দোকান খুললেও দাম চড়া।

ঈদুল আজহার আগে বেড়ে যাওয়া টমেটো ও গাজরের দাম আকাশচুম্বী। ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টমেটো ও গাজর মিলছে না দেড়শ টাকার নীচে। শুধু এই দুই সবজিই নয় কাঁচামরিচের দামও কেজিপ্রতি প্রায় ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ঈদ পরবর্তী লকডাউন শুরুর দিনেই এমন উর্ধ্বমুখী সবজির বাজার। শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ঈদ পরবর্তী লকডাউন শুরুর দিনে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ সবজির দোকান। কিছু সবজি বিক্রেতা দোকান খুললেও দাম চড়া। বিক্রেতার পাশাপাশি ক্রেতাও কম। বাজারে মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে। আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের কারণে গাজর ও টমেটোর চাহিদা বেড়েছে। অনেকে সালাদ খাওয়ার জন্য কিনছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে এ দুটি পণ্যের সরবরাহ কম, এ কারণে দাম বেড়েছে। বাজারে এখন যে গাজর পাওয়া যাচ্ছে, তা আমদানি করা। দেশি গাজর এখন বাজারে নেই। আমদানি করার কারণে এমনিতেই গাজরের দাম বেশি। আর যে টমেটো পাওয়া যাচ্ছে, তা কোল্ডস্টোরেজের। শখ করে অল্পকিছু মানুষ এই টমেটো কিনে খায়।

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ঈদের আগের দিন কিছু সবজির দাম কমলেও ঈদের পর আবার আগের দামে ফিরে গেছে। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আগের মতো ঢেড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, তা ঈদের আগে ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া আদা এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের কেজি আগের মতো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ঈদ পরবর্তী সময়ে মাছের চাহিদা কিছুটা বাড়তি থাকে। এই বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে কিছু মাছের দাম বেড়েছে অনেক বেশি। বিশেষ করে বাজারে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং রূপচাঁদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App