×

জাতীয়

গাবতলী থেকে বংশাল রিকশাভাড়া ৬০০ টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২১, ০৩:৪৫ পিএম

গাবতলীতে ঢাকায় ফেরা মানুষ লকডাউনে ভোগান্তিতে পড়েছে। রিকশাভাড়া বেশি হওয়া সত্ত্বেও আর কোনো যানবাহন না পেয়ে মানুষ হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।

পোশাকশ্রমিক আরমান স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে বসে আছেন গাবতলী বাস টার্মিনালের কাছে। সদরঘাট থেকে হেঁটে গাবতলী পর্যন্ত এসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তারা। গন্তব্য সাভারের নবীনগর। এর আগে বরিশাল থেকে লঞ্চে করে সকাল ছয়টায় সদরঘাটে এসেছেন। রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই। তাই বাধ্য হয়েই তারা হেঁটে রওনা দেন। গাবতলীতে এসে এখন আর পা চলছে না। আরমান তার পরিচিত একজনকে ফোন করে একটি ভ্যান পাঠাতে বলেছেন। কিন্তু সেটি কখন আসবে, তা বুঝতে পারছেন না।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী বখতিয়ার আলী বগুড়া সদর থেকে ফিরেছেন। গাবতলী থেকে তিনি যাবেন পুরান ঢাকার বংশালে। একটি রিকশা ঠিক করেছেন তিনি ৬০০ টাকায়। রিকশাচালক মো. রাসেলের দাবি, ভাড়া কম হয়ে গেছে। তার কথা শুনে পাশের আরেক রিকশাচালক বলে উঠলেন, আজকের জন্য এটা অনেক কম ভাড়া।

ঈদ উপলক্ষে আট দিন শিথিলের পর করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে আবারও শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। ঈদ উদ্‌যাপন শেষে আজ শুক্রবার যাঁরা ঢাকায় ফিরছেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা নানা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বিশেষ করে যারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন, তাদের যেন বিড়ম্বনার শেষ নেই। রিকশাই তাদের একমাত্র ভরসা। তবে আরমানের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের পক্ষে অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দেওয়া সম্ভব নয়।

গাবতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঈদ উদ্‌যাপন শেষে ঢাকায় ফিরছেন অনেক মানুষ। গাবতলী ব্রিজের ওপারে (আমিনবাজার অংশ) তাদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা হেঁটে ব্রিজ পার হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছেন।

দূরপাল্লার যেসব বাসে যাত্রী নেই, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহন না থাকার কারণে গাবতলী থেকে কেউ কেউ রিকশায় চড়ে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। তবে ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে অনেক মানুষ পায়ে হেঁটে রওনা দিচ্ছেন।

বেলা ১১টার দিকে গাবতলীর মাজার রোডে কথা হয় জেসমিন বেগম ও তার স্বামী আবদুল হালিমের সঙ্গে। দুই মেয়েকে নিয়ে তারা হেঁটে রওনা দিয়েছেন মহাখালীর কড়াইল বস্তির দিকে। জানান, জেসমিন বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করেন। হালিম একটি হোটেলে কাজ করেন। যে সামান্য টাকা নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলেন, সেই টাকা এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। মহাখালী পর্যন্ত ৬০০–৭০০ টাকা রিকশাভাড়া চান চালকেরা। অনেকটা বাধ্য হয়েই হেঁটে বাসায় ফিরতে হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App