অস্ট্রেলিয়ায় ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদেরও ফাইজারের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছর ও তার বেশি বয়সিদের আগেই ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছিল। এবার ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদেরও তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। সে দেশের ড্রাগ রেগুলেটর জানিয়েছে, ফাইজারের টিকা বাচ্চাদের দেওয়া যেতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেছেন, সব দিক ভালো করে বিচার করেই রেগুলেটর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এবার জানাবে, কাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। এমনিতে করোনা মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া তুলনামূলকভাবে ভালো কাজ করেছে। কিন্তু টিকা নিয়ে তাদের প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন। এখনো দেশের অর্ধেক মানুষ কড়া লকডাউনের মধ্যে আছেন। কারণ, নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।

তবে ভিক্টোরিয়ার পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে। শুক্রবার সেখানে ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগের দিন হয়েছিলেন ২৬ জন।

তবে অস্ট্রেলিয়ায় করোনা কিছুটা বাড়ায় নিউজিল্যান্ড তাদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামাজিক দূরত্বের বিধি আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। গ্রেটার সিওল এলাকায় করোনার বাড়াবাড়ি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখানে সম্প্রতি করোনার প্রকোপ খুবই বেড়েছে। ৮ অগাস্ট পর্যন্ত সিওলে তিনজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে এখন করোনার বিধিনিষেধ কার্যত তুলে নেয়া হয়েছে। তারপরেই কয়েক হাজার মানুষ একটি মিউজিক ফেস্টিভালে যোগ দিয়েছিলেন। চারদিনের এই ফেস্টিভালে ৪০ হাজার মানুষ আসবেন বলে কর্মকর্তাদের হিসাব। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লকডাউন উঠে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।