৪ শতাংশ সুদে প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা এখন থেকে গৃহ নির্মাণ ঋণ নিতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বলতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের বোঝানো হয়েছে। প্রদত্ত ঋণের পরিমান সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত।
অর্থ বিভাগ সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে। এর আনুষ্ঠানিক নাম ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা’। পহেলা জুলাই ২০২১ সাল থেকে এটি কার্যকর।
অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এই পরিপত্রের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণ দেওয়ার জন্য অর্থ বিভাগ মোট চারটি আলাদা পরিপত্র জারি করল।
প্রথমটি হচ্ছে সরকারি কর্মচারী, এরপর অধস্তন আদালতের বিচারক ও তৃতীয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য। প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছাড়া সবারই ঋণ পাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার। এতে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা গৃহ নির্মাণ বাবদ ঋণ প্রদানের সুবিধা রাখা হয়। সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালার আওতায় অধস্তন আদালতের বিচারকেরাও গৃহ নির্মাণ ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
জানা গেছে, প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি আপিল বিভাগে বর্তমানে ৫ জন বিচারক রয়েছেন, আর হাইকোর্ট বিভাগে আছেন ৯২ জন বিচারক।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক বিচারকের মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত খুবই সময়োপযোগী হয়েছে।’
নীতিমালা অনুযায়ী গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ সরল সুদ। সুদের ওপর সুদ আদায় করা যাবে না। ঋণগ্রহীতা দেবেন ৪ শতাংশ সুদ আর বাকি ৫ শতাংশ সুদ ভর্তুকি হিসেবে বহন করবে সরকার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।