মহাসড়কে যানবাহনের চাপ, ফেরিঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড়
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২১, ১১:১২ এএম
ঈদের বাড়ি যেতে মানুষ ছুটছে, কয়েকদির ধরেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ দেখা যায়। ছবি: ভোরের কাগজ
ঈদে বাড়ি যেতে ফেরীতে মানুষের ভীড়। বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। ছবি: ভোরের কাগজ।
ঈদ সামনে রেখে এখন সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চাপ এবং ফেরিঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ভিড় বাড়ায় যাত্রাপথে ভোগান্তিও বেড়েছে। এদিকে ঈদের শেষ মুহূর্তে মানুষের চাপ বাড়লেও গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যানবাহনের জন্য লোকজনকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষায় প্রহর গুনতে হচ্ছে।
গত রবিবার (১৯ জুলাই) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার যানজট থাকলেও আজ সোমবার সকাল থেকে তা কমে এসেছে। সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কের উত্তরবঙ্গগামী লেনে কালিহাতীর পুলিং থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজট রয়েছে। শত শত বিভিন্ন ধরনের গাড়ি আটকা পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার ঘর মুখো মানুষ। তবে ঢাকামুখী লেনে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলছে।
সাভারের বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার রাত ১১টা থেকে ঈদযাত্রায় বাস, মাইক্রোবাস, পশুবাহী ও পণ্যবাহী ট্রাক-মিনিট্রাকের চাপ বাড়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের জামগড়া, নরসিংহপুর, জিরাবো এলাকায় দুই লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নবীনগর থেকে সিএন্ডবি পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ও হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী পর্যন্ত ঢাকাগামী লেনে প্রায় ৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া থেকে ধউর সেতু পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানেও থেমে থেমে গাড়ি চলছে।
এদিকে ঈদের শেষ মুহূর্তে সড়কে গণপরিবহনের কিছুটা সংকট দেখা গেছে। এ কারণে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের খোলা ট্রাকে যেতে দেখা গেছে। সংস্থানের গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কেও আজ ভোর থেকে মানুষের ভিড় হয়েছে। আব্দুল্লাহপুর এলাকাতেও ঘরমুখো মানুষের ভিড় সড়কের উপরে। বাস না পেয়ে অনেকেই মিনি ট্রাক এবং পণ্যবাহী ট্রাকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মহাসড়কগুলোতে এখন মানুষ নিয়ে শত শত ট্রাক চলাচল করছে। আজ দুপুরের পর গার্মেন্টস ছুটি হলে এই ভিড় আরো প্রকট আকার ধারণ করবে। ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জ থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টসকর্মী ঈদ সামনে রেখে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
অপরদিকে ফেরিঘাট এলাকার চিত্র আজ সকাল থেকেই পুরোপুরি বদলে গেছে। গত রোববার ফেরিঘাটগুলোতে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়লে অতটা ভিড় ছিল না। কিন্তু আজ সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে সকাল থেকে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ফেরি এবং লঞ্চে একইসঙ্গে যাত্রী পারাপার করা হলেও প্রচুর ভিড় সামাল দেয়া ঘাট কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। শিমুলিয়া ফেরিঘাটে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে এরমধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর সঙ্গে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ফেরি এবং লঞ্চগুলো ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ণ হয়ে ছেড়ে যাচ্ছে। লঞ্চ ও ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটেও সকাল থেকে যানবাহন এবং মানুষের ভিড় বেড়েছে। প্রতিটি ফেরি ও লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই চলাচল করছে। কয়েকশো গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।