জামিআ রাহমানিয়া মাদরাসা ছাড়ছেন মামুনুলরা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২১, ০২:৩৫ পিএম
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসাটি ছেড়ে দিয়েছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক ও তার বড় ভাই মাহফুজুল হক। সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে অনুসারী শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে মাদরাসাটি ছেড়ে যান তিনি। পরে মাদরাসার প্রধান ফটকে তালা দেওয়া হয়।
মাদরাসার চাবি সরকার স্বীকৃত ইসলামী শিক্ষা বোর্ড আল হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসানের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মাহফুজুল।
এসময় মাহফুজুল হক বলেন, মাহমুদুল হাসান সাহেব অন্যান্য শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত একটি কল্যাণকর এবং সুন্দর একটা সমাধান আমাদেরকে দেবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।মাহফুজুল হকের সঙ্গে অন্য শিক্ষকদেরও মাদরাসা ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে জামিয়া রহমানিয়ার শিক্ষক মাওলানা নুরুজ্জামান বলেন, আমরা আমাদের অধ্যক্ষের অধীনে সেখানে থাকি। কোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে উনাকে জিজ্ঞেস করুন।
জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসার আরেক শিক্ষক মাওলানা আনিসুর রহমান বলেন, মাদরাসার চাবি হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে। তাহলে তো সবাইকে বের হতে হবে। না হলে তালা মারবে কীভাবে। তাহলে কি শিক্ষকরা ভেতরে আটকা থাকবে?
এর আগে সকাল পৌনে ৯টার দিকে মাদরাসা থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন মাহফুজুল হক। মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিভিন্নভাবে কথা আসছে, আমাদের এ প্রতিষ্ঠান ছাড়তে হবে। এ ভবন আমাদের ছাড়তে হবে। আমরা লক্ষ্য করছিলাম। আমাদের কাছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কোনো নোটিশ আসেনি। আমাদের দেশের শীর্ষ আলেমরা এ বিষয়টি নিয়ে কোনো পরামর্শও করছেন না।’
এদিকে মাদরাসা ভবনটি সোমবারের মধ্যে না ছাড়লে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান হওয়ার কথা ছিল বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদপুরের জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়া শীর্ষস্থানীয় একটি কওমি মাদরাসা। ১৯৮৮ সালে ওয়াকফ সম্পত্তিতে গড়ে ওঠা এই মাদরাসাটি ২০০১ সালে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় আল্লামা আজিজুল হকের পরিবার। তার ছেলে মাহফুজুল হক ও মামুনুল হকরা পরে হেফাজতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
ওয়াকফ প্রশাসনে নিবন্ধিত মাদরাসাটি থেকে ওই সময়ের ৩৬ জন শিক্ষককে বের করে দেওয়া হয়। সেই সময় থেকে মাদরাসাটির পরিচালনার দায়িত্ব ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যায় ওয়াকফ অ্যাস্টেট পরিচালনা কমিটি। আদালতের রায়, ওয়াকফ প্রশাসনের পক্ষে আদেশ থাকার পরও এতদিন মাহফুজুল হক ও মামুনুল হকরা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রণে রাখে।