×

জাতীয়

চট্টগ্রামে আক্রান্ত ১২ শিশুর সবার শরীরে করোনার ডেলটা ধরন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২১, ১২:২৬ এএম

চট্টগ্রামের দুই হাসপাতালে জুন ও জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ১২ শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের সবাই করোনা ভাইরাসের ডেলটা ধরনে আক্রান্ত ছিল। শিশুদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে এ তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা। ১২ জনের মধ্যে ৮ জন বর্তমানে সুস্থ। চারজন এখনো চিকিৎসাধীন।

করোনা ভাইরাসের জীবনরহস্য উন্মোচনবিষয়ক এ গবেষণায় বলা হয়, চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতাল এবং জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ১২ শিশু এসেছিল। এদের মধ্যে ছয় জন মেয়ে। ৮০ ভাগ শিশুর বয়স ১০ বছরের মধ্যে। বাকি ২০ ভাগের বয়স ১৬ বছরের মধ্যে। ৯৫ ভাগ শিশুর উপসর্গ হিসেবে জ্বর এবং ৭০ ভাগের সর্দি-কাশি ছিল। আর এক শিশুর শরীরে কোনো উপসর্গই ছিল না।

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্ত জার্মানভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আন্তর্জাতিক তথ্যভান্ডার ‘গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা’-তে গৃহীত হয়েছে। শনিবার (১৮ জুলাই) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়।

গবেষণার নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী, আবদুর রব মাসুম, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সঞ্জয় কান্তি বিশ্বাস ও নাহিদ সুলতানা। সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক আদনান মান্নান। গবেষক দলে আরও ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মিনহাজুল হক, রাজদীপ বিশ্বাস, আকরাম হোসেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ফাহিম হাসান রেজা। এ ছাড়া গবেষণা প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে ছিলেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ভাইরোলজি বিভাগের গবেষক মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন।

গবেষক হামিদুল্লাহ মেহেদী বলেন, মে মাস পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের আলফা ও বিটা ধরনের প্রকোপ ছিল। কিন্তু জুন থেকে ৯০ শতাংশ রোগীর শরীরে ডেলটা ধরন দেখা গেছে। শিশুরাও বেশি মাত্রায় সংক্রমিত হচ্ছে।

গবেষক দলের সদস্য সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, গত এক বছরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য হারে শিশুরা হাসপাতালে আসেনি। গত জুন থেকে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ভারতে পাওয়া ডেলটা ধরনের কারণেই এমনটি হচ্ছে।

গবেষকেরা বলছেন, শিশুরা সাধারণত জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, ক্ষুধামন্দ্য, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি উপসর্গ নিয়েই চিকিৎসকের কাছে আসছে। এ ছাড়া আক্রান্ত শিশুদের ক্লান্তি, দুর্বলতার লক্ষণও দেখা গেছে।

জানতে চাইলে গবেষক ও চিকিৎসক নাহিদ সুলতানা বলেন, শিশুদের ঘরের বাইরে জনসমাগমে নেওয়া বাদ দিতে হবে। তাদের জ্বর, শ্বাসকষ্ট কিংবা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App