×

সারাদেশ

গাইবান্ধায় হাসপাতলে রোগীর মৃত্যু: ভাঙচুর-মারপিট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২১, ১১:৪০ পিএম

গাইবান্ধায় হাসপাতলে রোগীর মৃত্যু: ভাঙচুর-মারপিট

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় দুই চিকিৎসককে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছবি: ভোরের কাগজ

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় দুই চিকিৎসককে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, রবিবার বিকেল থেকে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন চিকিৎসক সুজন পাল। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জাহেদা বেগম (৫৫) নামের এক রোগী হাসপাতালে মারা যায়। জাহেদার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি গ্রামে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে জাহেদার ছেলে জাহিদ মিয়া ও তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তারা জরুরি বিভাগের চেয়ার টেবিল ও জানালা ভাঙচুর করে। চিকিৎসককে গালাগালি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা চিকিৎসক সুজন পালকে মারধর করে। এ সময় আরেক চিকিৎসক নুরে জান্নাত এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই ঘটনায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক তাহেরা আকতার বাদী হয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, আজ সন্ধ্যায় ১০-১২ জনের একটি দল জরুরি বিভাগের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। চিকিৎসক সুজন পাল ও নুরে জান্নাতকে মারধর করা হয়।

এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মো. মাহফুজার রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।তবে মৃত জাহেদা বেগমের ছেলে জাহিদ মিয়া অভিযোগ করেন, রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যান।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মায়ের ইলেক্ট্রোলাইটসহ তিনটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বলেন। হাসপাতালের বাহির থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ভর্তি না করে পরের দিন রক্ত দিতে বলেন। চিকিৎসক রোগীকে জরুরি বিভাগের বেডে ফেলে রাখা হয়। এভাবে দীর্ঘসময় চিকিৎসার অভাবে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জাহেদা বেগম মারা যায়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App