সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি ও রমজাননগর ইউনিয়নে মাদক চোরাকারবারিরা দুই দফা হামলা করে র‌্যাব সদস্যদের ব্যবহৃত সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। হামলায় র‌্যাবের তিন সদস্যসহ আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের বতর্মানে শ্যামনগর ও খুলনায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গত ১৬ জুলাই শুক্রবার রাতে কৈখালি ও রমজাননগর সংযোগ ব্রীজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে র‌্যাব সদস্য বিশ্বজিৎ ও আসলাম এবং র‌্যাবের সোর্স সহ ৫ জন আহত হয়। র‌্যাব এ ঘটনায় রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ও তার চাচাতো ভাই একই ইউনিয়নের মেম্বর জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজনকে আটক করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‌্যাবের একজন সোর্স ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে একটি প্রাইভেটকার ও ৫টি মোটরসাইকেলসহ র‌্যাব ও কয়েকজন সোর্স কৈখালি এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিল। মাদক কেনাবেচার ভান করে তা জব্দ করার সময় চোরাচালানিরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে কৈখালির একটি ঘরে আটকে রাখে। এসময় তাদের কাছে থাকা একটি অস্ত্রও ছিনিয়ে নেয় চোরাকারবারিরা। খবর পেয়ে নদীর অপর পাড়ে রমজাননগরে থাকা র‌্যাবের কয়েকজন সোর্স ও সদস্য কৈখালি থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। রমজাননগরে আসার পরপরই তাদের পথরোধ করে আবারও হামলা করে আরেকদল চোরাকারবারি। এ সময় তাদের মারধর করে দ্বিতীয় দফায় অন্য একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়।

র‌্যাব এই ঘটনায় সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলনের মামা ও সাবেক এমপি এ কে ফজলুল হকের শ্যালক রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন ও তার ভাই একই ইউনিয়নের সদস্য জাহাঙ্গীর সহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর শরিফ বলেন, র‌্যাবের একটি টহল দল রাতে ওই এলাকায় অভিযানে গেলে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পড়ে এবং সেখানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। পরে আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে এনেছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুনসহ কয়েকজনকে আমাদের ক্যাম্পে আনা হয়েছে।