নেত্রকোনার মদনে প্রেমের ফাঁদে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক জাহাঙ্গীর (২২) এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিম তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানি গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। ওসি তদন্ত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভিকটিমের মা জানান, আমার মেয়েকে ওই ছেলেটি স্কুলে পড়া অবস্থায় বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণ  করত। পরে আমি আমার মেয়েকে ২০১৯ সালের ২৪ জুন বিয়ে দিয়ে দেই। কিন্তু ছেলেটি আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পরেও যোগাযোগ রেখেছে। পরে জানতে পারি ওই ছেলেটি আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তাকে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ছেড়ে দিবে বলে অবশেষে আমার মেয়ে তার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য হয়।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৩ জুলাই আমার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে আবারও ধর্ষণ করে। এ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন সময় বৈঠকে বসা হয়েছিল। তারা খুবই প্রভাবশালী। আমরা গরীব মানুষ। মুখখুলে বলতেও পারি না। এতদিন চুপ ছিলাম। গ্রামের লোকজনের নিকট বিচার চেয়েছিলাম। কোনো সুরাহা হয়নি। তাই কি আর করবো বাধ্য হয়ে ধর্ষণের মামলাটি করেছি। আজ তাকে পুলিশ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছি। আমার মেয়ের যে সংসার ভেঙেছে, আমার মেয়ের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের বড় বোন শিল্পী আক্তার জানান, সত্যতা যাচাই করে মেডিকেল রিপোর্ট আসলে যা শাস্তি হয় তাই আমরা মেনে নিব।

ওসি তদন্ত উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা শনিবার রাতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিম মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।