কক্সবাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী আশু আলী র্যাবের হাতে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২১, ১১:১৬ এএম
শনিবার ভোরে কক্সবাজার শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের সাহিত্যিকা পল্লী বড়বিল মাঠে আশুর লাশটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। ছবি: ভোরের কাগজ
কক্সবাজার শহরের ভয়ঙ্কর খুনি আশরাফ আলী ওরফে আশু আলী (২৫) র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) ভোরে শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের সাহিত্যিকা পল্লী বড়বিল মাঠে লাশটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। সে বিজিবি ক্যাম্প ফরেস্ট অফিস পাড়ার জাফর আলমের ছেলে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটা লম্বা বন্দুক, একটি দেশিয় এলজি ও সাত রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলে এসএমএস দিয়ে নিশ্চিত করেছে কক্সবাজার র্যাব ১৫ মিডিয়া উইং।
জানা যায়, কক্সবাজার শহরের সাহিত্যিকা পল্লী ও সমিতি বাজারের মাঝামাঝি অঞ্চল ছিল আশু আলী বাহিনীর অপরাধ রাজ্য। তার বাহিনীর প্রধান আমির খান ২০১৯ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। আমির খানের সেকেন্ড ইন কমান্ড আশরাফ আলী ওরফে আশু আলীও অবশেষে একই পথের পথিক হলো।
২০২০ সালের জুলাইয়ের দিকে শহরের সাবমেরিন এলাকায় বোনের বাসা থেকে বাবুর্চি হেলালকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে আশু আলী। এরপর একই সালের সেপ্টেম্বরের দিকে রাজমিস্ত্রি শফিউল্লাহকে কুপিয়ে হত্যা করে আশু আলী ও সাদ্দাম গ্যাং। ২২ নভেম্বর কক্সবাজার বাস টার্মিনাস্থল বিএডিসির খামার-সংলগ্ন সড়কে আশু আলীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন আনোয়ার হোছাইন।
কক্সবাজার শহরের ক্রাইম জোন হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকা, সমিতি বাজার, সিকদার বাজার ও জেল কারাগারের পেছনের এলাকা আশু আলী ও সাদ্দাম বাহিনীর রাজত্ব। এসব এলাকায় নিয়মিত হত্যা, ছিনতাই, অপহরণ, ডাকাতি, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ সবধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চলে আসছে। এসব প্রতিরোধ করতে সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত দেড় বছর আগে দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকায় করা হয় কক্সবাজার শহর পুলিশ-ফাঁড়ি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশরাফ আলী ওরফে আশু আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, অস্ত্র, ডাকাতি প্রস্তুতিসহ প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে।